সুরশ্রী রায় চৌধুরীঃ

করোনা ভাইরাসের মধ্যেই বছরের প্রথম সাইক্লোন আম্ফান বা আমফানের (থাইল্যান্ডের স্থানীয় উচ্চারণ উমপুন) তাণ্ডবে তছনছ হয়ে গিয়েছে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের জেলার বিস্তীর্ণ অঞ্চল। বিশেষ করে দুই ২৪ পরগনা বিধ্বস্ত আম্ফানের তাণ্ডবে। বঙ্গোপসাগর দিয়ে এই সুপার সাইক্নোন বয়ে যাওয়ার পরই আবার আসছে নতুন তথ্য।

আগামী জুন মাসের প্রথম সপ্তাহে আসছে আরেকটি সাইক্লোন। এর নাম ‘নিসর্গ’ (বাংলাদেশের দেওয়া নাম)।

আরও এক মহাপ্রলয় অপেক্ষা করছে  নিসর্গ? ঠিক তাই বঙ্গোপসাগরের তৈরি হওয়া ট্রপিক্যাল সাইক্লোনের সাধারণ এক চরিত্র থাকে। এই সাইক্লোন সাধারণ সক্রিয় থাকে ৯ থেকে ১০দিন। তিনটি ধাপে এই সাইক্লোন মহাপ্রলয়ের রূপ নেয়। ঠিক যেমন নিয়েছিল আম্ফান। সমুদ্রস্তরের একটা অংশে তাপের সঞ্চারের ফলে ইমম্যাচিওর্ড, ম্যাচিওর্ড, ডিকে- এই তিন ধাপে সাইক্নোন ভয়ঙ্কর রূপ নেয়।

‘নিসর্গ’ নামের ঝড়টির জন্ম আন্দামান নিকোবারের দক্ষিণে।  নিসর্গ  নামটি বাংলাদেশের প্রস্তাবিত। 
বঙ্গোপসাগরে উপকূলীয় অঞ্চলের ৬৪তম ঘূর্ণিঝড় ছিল আমফান। জানিয়েছিল বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা (ডব্লিউএমও)। আসন্ন আরেক মহাপ্রলয়ের নাম নিসর্গ।

ভারত, বাংলাদেশ, মায়ানমার, পাকিস্তান, মালদ্বীপ, ওমান, শ্রীলঙ্কা এবং থাইল্যান্ডের সঙ্গে ২০১৮ সালে তালিকায় আরও পাঁচটি দেশকে যুক্ত করা হয়েছে। ইরান, কাতার, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরশাহী আর ইয়েমেন। এই ১৩টি দেশ এপ্রিলে আসন্ন ঘূর্ণিঝড়ের ১৬৯টি নাম প্রস্তাব করেছে। 

এর আগে ফণী ঝড়ের নাম দিয়েছিল বাংলাদেশ। সেটিও প্রবল শক্তি নিয়ে আছড়ে পড়েছিল। আমফান নামটি দিয়েছিল থাইল্যান্ড। যার অর্থ আকাশ। কিন্তু সুন্দর এই নামটি এখন মানুষের দুর্বিষহ যন্ত্রণার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।