করোনা সংক্রমণ রুখতে লক ডাউনেরে জেরে দীর্ঘ দুমাস বন্ধের পর ২৫শে মে থেকে পশ্চিমবঙ্গ ও অন্ধ্রপ্রদেশ বাদে সারা দেশে আরম্ভ হয়েছে ঘরোয়া বিমান পরিষেবা। করোনার মাঝেই আম্ফানের দাপটে বিধ্বস্ত দক্ষিণবঙ্গ, এর জেরেই মুখ্যমন্ত্রীর আবেদনে সাড়া দিয়ে বাংলায় ২৮শে মে থেকে বিমান পরিষেবা আরম্ভ হতে চলেছে। এরজন্য রাজ্য সরকার বেশ কিছু নিয়মের একটি নির্দেশিকা জারি করেছে সরকার।
নিয়মগুলি-
- প্রত্যেক যাত্রীকে বিমানবন্দরে এসে সেলফ ডিক্লারেশন ফর্ম জমা দিতে হবে।
- ১৪ দিন নিজের স্বাস্থ্যের দিকে নজর রাখতে হবে।
- প্রত্যেক যাত্রীকে ফেস মাস্ক পরতেই হবে, যা নাক ও মুখ ঠিকমতো ঢেকে রাখে।
- সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং মানতে হবে, সঙ্গে রাখতে হবে হ্যান্ড স্যানিটাইজার। এছাড়া হাঁচতে কাশতে গেলে কনুই দিয়ে মুখ ঢাকতে হবে অথবা ব্যবহার করতে হবে টিস্যু। তারপর তা ঠিকমত ফেলে দিতে হবে।
- যাঁদের অসুখের লক্ষণ নেই শুধু তাঁরাই বিমানে উঠতে পারবেন। বিমান ছাড়ার আগে তাঁদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা হবে।
- বিমান থেকে নামার পরেও তাঁদের স্বাস্থ্য় পরীক্ষা হবে। যদি কোনও লক্ষণ না থাকে তবে গন্তব্যে যেতে পারবেন তাঁরা, তবে ১৪ দিন সেলফ আইসোলেশনে থাকতে হবে। যদি কোনও লক্ষণ দেখা যায় তবে স্থানীয় মেডিক্যাল অফিসারের কাছে রিপোর্ট করতে হবে তাঁদের বা ফোন করতে হবে রাজ্য কল সেন্টারে।
- যে সব যাত্রীর করোনা লক্ষণ আছে, তাঁদের নমুনা নেওয়ার জন্য নিয়ে যাওয়া হবে কোভিড সেন্টারে।
- মাঝারি থেকে বেশি লক্ষণ সম্পন্ন যাত্রীদের করোনা সেন্টারে ভর্তি করা হবে। যাঁদের লক্ষণ সামান্য, তাঁদের বাড়ি যেতে দেওয়া হবে।
- রাজ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকদের কাছে জমা দিতে হবে সেলফ ডিক্লারেশন ফর্ম।
- বিমানবন্দরের যে সব জায়গায় ভিড় বেশি হয়, সেগুলি নিয়মিত পরিচ্ছন্ন, জীবাণুমুক্ত করতে হবে। বিমানবন্দরের বিভিন্ন জায়গায় পাওয়া যাবে সাবান আর স্যানিটাইজার।
- সোশ্যাল ডিসট্যান্সিংয়ের নিয়মকানুন এবং শ্বাসপ্রশ্বাসের বিধি মেনে চলার জন্য নিয়মিত ঘোষণা হবে।
অন্তর্দেশীয় বিমান পরিষেবা শুরুর আগে যুদ্ধকালীন তত্পরতায় বিমানবন্দরের পুরনো টার্মিনালে তৈরি হচ্ছে ৪০০ শয্যার কোয়ারেন্টিন সেন্টার। বিমানবন্দর সূত্রের খবর, বিমান চলাচল শুরু হওয়ার পর, কোনও যাত্রীর করোনার উপসর্গ দেখা দিলে তাঁদের ওই কোয়ারেন্টিন সেন্টারে রাখা হবে।
Social Plugin