Tata Trusts brings in CMC Vellore and CIHS Hyderabad to curate free online training for medical professionals on Covid-19 Critical Care
মুম্বই, ২৬ মে, ২০২০: কোভিড-১৯ রোগের চিকিৎসায় হেল্থকেয়ার পেশাদারদের দক্ষতা আরও বাড়াতে টাটা ট্রাস্ট এবং টাটা গ্রুপ দুটি স্বনামধন্য চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধল। ওই দুই প্রতিষ্ঠান হল ভেলোরের ক্রিশ্চিয়ান মেডিকেল কলেজ (সিএমসি) এবং হায়দরাবাদের কেয়ার ইনস্টিটিউট অফ হেল্থ সায়েন্সেস (সিআইএইচএস)।

টাটা ট্রাস্টের চেয়ারম্যান শ্রী রতন এন টাকা একটি বিবৃতিতে বলেছিলেন, “মানবজাতি এক কঠিনতম চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে চলেছে। কোভিড-১৯-এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য তাই আপৎকালীন ভিত্তিতে সমস্ত রকমের জরুরি ব্যবস্থা নিতে হবে।” ট্রাস্টের চেয়ারম্যানের সেই বার্তার পরই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

এই প্রশিক্ষণের জন্য কিছু হাসপাতালকে চিহ্নিত করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বাছাই করা হেল্থকেয়ার পেশাদারদারদের জন্য এই ২২ ঘন্টার অনলাইন ট্রেনিং প্রোগ্রামের পাঠ্যসূচি সাজানো হয়েছে। একেবারে বিনামূল্যে এই প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।

টাটা ট্রাস্ট মনে করে, কোভিড-১৯ আক্রান্ত সংকটাপন্ন রোগীর চিকিৎসার জন্য আইসিইউ ফিজিশিয়ান ও ইনটেনসিভিস্টদের বৃহত্তর ভাবে আরও কিছু ডাক্তার, নার্স, প্যারামেডিকেল স্টাফের সাহায্য দরকার পড়ে। এই ট্রেনিং প্রোগ্রামের উদ্দেশ্য হল, নন আইসিইউ স্বাস্থ্যকর্মীদের বা চিকিৎসকদের সংকটাপন্ন রোগীর চিকিৎসা সংক্রান্ত কিছু মৌলিক বিষয় ও পদ্ধতি সম্পর্কে অবগত করানো। 

সংকটাপন্ন রোগীর চিকিৎসা কীভাবে শুরু করা হবে আইসিইউ-তে কী প্রক্রিয়া মেনে চলা হবে, এয়ারওয়ে ম্যানেজমেন্ট বা ভেন্টিলেটর পরিচালন কী করে করতে হবে সেই সব সম্পর্কে জরুরি পাঠ এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে রয়েছে। রোগীর উপসর্গ দেখে কীভাবে বুঝে নিতে হবে যে তাঁর শরীরে সংক্রমণ মৃদু, মাঝারি না কি অতিমাত্রায় ঘটেছে এবং তাঁকে কী ধরনের চিকিৎসার জন্য পাঠাতে হবে তাও এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচির মাধ্যমে জানানো হবে। তা ছাড়া কোয়ারেন্টাইন সেন্টার, আইসোলেশন সেন্টার, সার্ভিস এরিয়ায় কী ধরনের ব্যবস্থাপনা প্রয়োজন তাও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে শেখানো হবে।

দু’ ভাবে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে,-- লাইভ ওয়েবিনারের মাধ্যমে কিংবা ট্রেনিং প্রোগ্রামের মডিউল দেওয়া হবে যা ডেস্কটপ, ল্যাপটপ বা মোবাইল থেকে অ্যাকসেস করা যাবে।

সিএমসি ভেলোর মাস্টার ট্রেনার তৈরি প্রক্রিয়া বেছে নিয়েছে। অর্থাৎ তারা কয়েকজনকে এমন ভাবে প্রশিক্ষণ দিয়ে প্রস্তুত করবে, যাঁরা আবার কোচের ভূমিকা নিয়ে একটি বড় গ্রুপকে সেই পাঠ দেবে। আর হায়দরাবাদের সিআইএইচএস ঠিক করেছে, তারা ছোট ছোট গ্রুপকে সরাসরি প্রশিক্ষণ দেবে।

দুটি প্রতিষ্ঠানই তাদের প্রশিক্ষণ কর্মসূচি তথা পাঠ্যসূচিকে এমন ভাবে সাজিয়েছে যাতে অংশগ্রহণকারীরা ঠিকমতো প্রশিক্ষিত হয়ে ইনটেনসিভিস্ট বা আইসিইউ-তে দায়িত্বরত তাঁদের সহকর্মীদের যথাযথ সাপোর্ট দিতে পারে।

কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে ভারতের লড়াইয়ে সহযোদ্ধা হয়ে উঠতে এটা হল টাটা গোষ্ঠীর চতুর্থ পদক্ষেপ।

চারটি সরকারি হাসপাতালকে ইতিমধ্যে কোভিড-১৯ রোগের চিকিৎসার জন্য আপগ্রেড করা হয়েছে। এর মধ্যে দুটি হাসপাতাল রয়েছে উত্তরপ্রদেশে। বাকি দুটি রয়েছে মহারাষ্ট্রে। এই চারটি হাসপাতালেই স্থায়ী অন্তর্বিভাগ (ইন পেশেন্ট) এবং বর্হিবিভাগ (আউট পেশেন্ট) সুবিধা রয়েছে। জরুরি প্রয়োজন মিটে যাওয়ার পরেও স্থানীয় এলাকায় স্বাস্থ্য পরিষেবার সুযোগ বাড়ানোর লক্ষ্যে তারা কাজ করে যাবে।

টাটা ট্রাস্টের তরফে ইতিমধ্যে বিভিন্ন রাজ্য সরকার এবং বেসরকারি হাসপাতালকে পারসোনাল প্রোটেকশন ইক্যুইপমেন্ট সরবরাহ করা হয়েছে। তার মধ্যে কভারঅল, এন৯৫/কেএন৯৫ মাস্ক, সার্জিকাল মাস্ক, গ্লাভস, গগলস রয়েছে। এখনও পর্যন্ত ২৬ টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে তা সরবরাহ করা হয়েছে।

গ্রামীণ এলাকায় কোভিড-১৯ –এর সংক্রমণ রুখতে টাটা ট্রাস্ট দেশজুড়ে সচেতনতা কর্মসূচি চালাচ্ছে। মানুষ কীভাবে স্বাস্থ্যকর ও পরিচ্ছন্ন জীবনযাপন করবে তা গোষ্ঠীস্তরে প্রচার করা হচ্ছে। ৩১ মার্চ থেকে তা শুরু হয়েছে এবং এখনও পর্যন্ত ২১ টি রাজ্যের ২১ মিলিয়ন মানুষের কাছে সেই বার্তা নিয়ে পৌঁছনো গিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।