file picture-credit: sujan chakraborty fb 

সুরশ্রী রায় চৌধুরী, কলকাতাঃ 

আমফান পরিস্তিতি কে সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে প্রশাসন, সি এস সি। টানা পাঁচ দিন পর জল, বিদ্যুৎ, মোবাইল পরিসেবা, নেট কানেকশন না পেয়ে বিক্ষোভে ফুঁসছে মানুষ। 

পাঁচ দিন ধরে বিদ্যুৎ না-থাকায় একদিকে সমস্যা হচ্ছে বয়স্ক, অসুস্থ ও শিশুদের। অন্য দিকে যারা লোকডাউন এর জন্য বাড়িতে বসে কাজ করছে তাদের চরম ভোগান্তির স্বীকার হতে হচ্ছে।বিদ্যুৎ বিপর্যয় প্রসঙ্গে এ দিনও সিইএসসিকে দোষারোপ করেন কলকাতা পুরসভার প্রশাসক মণ্ডলীর চেয়ারম্যান ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেন, ‘‘মানুষের বিক্ষোভ মূলত জল ও আলো না-থাকার কারণেই। এর জন্য সিইএসসি-ই দায়ী। এনাফ ইজ এনাফ।’’ বাসিন্দাদেরও অভিযোগ, সিইএসসি-র কাস্টমার কেয়ার নম্বরে ফোন করলেও লাইন মিলছে না।

সেনা, পুরসভা, বন দফতর মিলে ভেঙে পড়া গাছ কেটে রাস্তা পরিষ্কারের কাজ চালিয়ে গেলেও বিদ্যুৎসংযোগ ফেরাতে দেরি হচ্ছে কেন, তার সদুত্তর সিইএসসি-র কাছে নেই, ধৈর্য হারানো গ্রাহকদের তা বোধের অগম্য। বন দফতর সূত্রের খবর, যোধপুর পার্ক, শোভাবাজার, আলিপুর-সহ কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় ভেঙে পড়া গাছ কাটা হয়েছে। 

শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় ভাঙা গাছ সরাতে দফতরের ১৫০০ কর্মীকে ২৩টি দলে ভাগ করে কাজে নামিয়েছে পূর্ত দফতর। সোমবার রাতের মধ্যে উত্তর কলকাতার স্বামীজির বসত ভিটে থেকে ময়দান পর্যন্ত এবং প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোডের গাছ সরিয়ে ফেলা হবে বলে দফতর সূত্রের খবর। এ ছাড়া, এ দিনও বিভিন্ন জায়গায় ভেঙে পড়া গাছ কেটে সরিয়েছে সেনা। বেহালায় পাঁচ দিনের মাথায় গাছ কেটে সরানোয় স্থানীয় বাসিন্দারা বাড়ি থেকে বেরিয়ে এসে সেনাবাহিনীকে ধন্যবাদ জানান। কাজ করছে এনডিআরএফ-এর ৩৯টি দল।। সিইএসসি-র দাবি, তাঁদের পরিষেবা এলাকায় ৯৫% জায়গায় বিদ্যুৎ চলে এসেছে। বিক্ষিপ্ত ভাবে কিছু জায়গায় লোকবল বাড়িয়ে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ চলছে। জেনারেটরও দেওয়া হচ্ছে জরুরি পরিষেবার ক্ষেত্রে। সিইএসি-র বক্তব্য, ঝড়ে গাছ পড়ে, তাদের বিদ্যুৎ পরিকাঠামোয় যে বিপুল ক্ষতি হয়েছে, তা দ্রুত সামলানোই ছিল বড় চ্যালেঞ্জ। ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলগুলিতে গ্রাহকদের ঘরে সাময়িক ভাবে বিদ্যুৎ পরিষেবা চালুর চেষ্টা করা হচ্ছে। গ্রাহকদের বড় অংশ অবশ্য তার প্রমাণ পাননি।

সুজন চক্রবর্তী বলেছেন- "আমফানের প্রভাবে যাদবপুরের বিস্তৃত এলাকায় বিদ্যুৎ এবং পানীয় জলের পরিষেবা কার্যত বন্ধ। ৬দিন অতিক্রান্ত। আজ ১০৯নং ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখলাম। দুর্বিষহ অবস্থা। রাজ্যে প্রশাসন, সরকার, CESC বলে কিছু আছে?"