প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ২০ লক্ষ কোটি টাকার আর্থিক প্যাকেজের বিশদ বিবরণ জানিয়ে আজ দ্বিতীয় দফায় সাংবাদিক বৈঠকের মুখোমুখি অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। দ্বিতীয় দফার সাংবাদিক বৈঠকে নির্মলা সীতারমণ, পরিযায়ী শ্রমিক, হকার, ক্ষুদ্র চাষিদের জন্য পদক্ষেপের কথা ঘোষণা করবেন।

‘মার্চ-এপ্রিলের মধ্যে কৃষিক্ষেত্রে ৬৩ লক্ষ ঋণ মঞ্জুর। প্রায় ৮৬ হাজার ৬০০ কোটি টাকার ঋণ মঞ্জুর‘, জানালেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। কেন্দ্রীয় অর্থ প্রতিমন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর বললেন, ‘গরিবদের অ্যাকাউন্টে এখন সরাসরি টাকা যাচ্ছে। প্রথম থেকেই গরিবদের কথা চিন্তা করেছে সরকার’। 

সরকার প্রবাসীদের আশ্রয় এবং তাদের খাবার ও জল সরবরাহের জন্য এসডিআরএফ ব্যবহারের জন্য রাষ্ট্রীয় সরকারকে অনুমতি দিয়েছে ...। আমরা সচেতন, আমরা অভিবাসীদের কাছে যোগ দিচ্ছি এবং বিভিন্নভাবে তাদের প্রদান করছি। 

আমরা ইতিমধ্যে ১৩ ই মে অবধি ১৪.৬২ কোটি ব্যক্তির কাজের দিন তৈরি করেছি যা গত মে-এর তুলনায় ৪০-৫০% বেশি লোক নিবন্ধিত। অভিবাসী কর্মীরা তাদের রাজ্যে ফিরে যেতে সক্রিয়ভাবে নামভুক্ত হচ্ছে। 

অর্থমন্ত্রী আরও জানালেন, ১২০০০ সেলফ হেল্প গ্রুপ ৩ কোটি মাস্ক ও ১.২ হাজার লিটার স্যানিটাইজার প্রস্তুত করেছে। গত দু'মাসে শহুরে দরিদ্রদের জন্য ৭২০০ টি নতুন এসএইচজি তৈরি করা হয়েছে। 

‘স্টেট ডিজাস্টার রেসপন্স ফান্ডে ১১ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ’, বললেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ বলেন, ‘পরিযায়ী শ্রমিকদের প্রতি যত্নবান সরকার। পরিযায়ী শ্রমিক ও শহরের গরিবদের জন্য বরাদ্দ। ৩ বার খাওয়া ও থাকার ব্যবস্থা করার জন্য টাকা বরাদ্দ।

কেন্দ্রীয় অর্থ প্রতিমন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর বললেন, পরিযায়ীরা রাজ্যে ফিরে যাতে কাজ পান। রাজ্যগুলিকে কাজ দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। ১০০ দিনের কাজের মাধ্যমে ব্যবস্থা করতে হবে। ১০০ দিনের কাজে ১৮২ থেকে ২০২ টাকা। 

তিনি আরও বলেন, ‘শ্রম আদালতের মাধ্যমে ন্যূনতম বেতনের সুবিধা। ন্যূনতম বেতনের সুবিধা পান ৩০ লক্ষ শ্রমিক। অসংগঠিত ক্ষেত্রে অনেক সমস্যা আছে। ন্যূনতম বেতন দেশজুড়ে একটাই হবে। এর ফলে অসাম্য দূর হবে। ঝুঁকিপূর্ণ কাজে সুরক্ষার বিষয়ে নতুন নিয়ম হবে’।

অর্থমন্ত্রী জানালেন, ‘পরিযায়ী শ্রমিকদের ২ মাস বিনামূল্যে খাদ্যশস্য দেওয়া হবে। যাঁরা রেশন পান তাঁদের আরও ৫ কেজি খাদ্যশস্য দেওয়া হবে। রেশন কার্ড না থাকলেও বিনামূল্যে ৫ কেজি করে খাদ্যশস্য দেওয়া হবে। এতে, উপকৃত হবেন ৮ কোটি পরিযায়ী শ্রমিক। ‘রেশনের জন্য ৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে কেন্দ্র। এ ব্যাপারে রাজ্যগুলির সঙ্গে কথা বলছে কেন্দ্র। পরিযায়ী শ্রমিকদের চিহ্নিত করার কাজ করবে রাজ্যগুলি।

‘অগাস্ট মাস থেকে এক দেশ, এক রেশন কার্ড। যে কোনও রাজ্য থেকে রেশন তোলা যাবে। আগামী মার্চের মধ্যে সব দেশবাসী এর আওতায়’, বললেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ।

প্রবাসী শ্রমিক / শহুরে দরিদ্রদের জন্য বেসরকারিভাবে বেসরকারী ভাড়া আবাসন ব্যবস্থা গুলিতে পিপিপি মোডের আওতায় সাশ্রয়ী মূল্যের ভাড়া আবাসন কমপ্লেক্সে (এআরএইচসি) রূপান্তর করে জীবনযাত্রার স্বাচ্ছন্দ্যের জন্য প্রবাসী শ্রমিক / শহুরে দরিদ্রদের জন্য সাশ্রয়ী মূল্যের ভাড়া আবাসনের প্রকল্প চালু করবে সরকার। 

মুদ্রা-শিশু লোন গ্রহীতাদের ১৫০০ কোটি টাকার ত্রাণ। 


হকারদের জন্যেও বড় সিদ্ধান্ত। ঠেলা গাড়িতে যারা বিক্রি করেন তাঁদের ১০ হাজার টাকা ‘ইজি ক্রেডিট’ দেওয়া হবে। হকারদের ঋণ দিতে বরাদ্দ ৫ হাজার কোটি। ৫০ লক্ষ হকার উপকৃত হবেন।


বার্ষিক আয় ৬-১৮ লক্ষ টাকা হলে মধ্যবিত্ত পরিবারের আবাসন তৈরিতে ভর্তুকি মিলবে। বরাদ্দ করা হয়েছে ৭০ হাজার কোটি টাকা। উপকৃত হবে ৩.৩ লক্ষ মধ্যবিত্ত পরিবার।প্রকল্পের সময়সীমা বেড়ে ৩১ মার্চ।


সিএএমপিএ তহবিলের আওতায় শীঘ্রই অনুমোদিত ৬০০০ কোটি টাকা। আদিবাসীদের জন্য কাজের সুযোগ সৃষ্টি করা জন্য। 


ক্ষুদ্র চাষিদের জন্য আরও ঋণের ব্যবস্থা। ৩ কোটি ক্ষুদ্র চাষিকে ৩০ হাজার কোটি টাকা ঋণ। নাবার্ডের মাধ্যমে ঋণ পাবেন ক্ষুদ্র চাষিরা। কিষাণ ক্রেডিট কার্ডে ২ লক্ষ কোটি টাকা ঋণ। ঋণের সুবিধা পাবেন আড়াই কোটি কৃষক’, বললেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ।