কোচবিহার জেলার বামনহাট-চৌধুরিহাট ডেকারেটার্স ইউনিটের পক্ষ থেকে সাহেবগঞ্জ বিডিও অফিসে আজ একটি স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। দীর্ঘ লকডাউনে কর্মহীন হওয়া প্রায় ২৫০০-৩০০০  শ্রমিক-মালিকের তৎসহ মাইক ব্যবসায়ী, ভ্যান চালকের সরকারি আর্থিক অনুদান চেয়ে এদিনের স্মারকলিপি প্রদান বলে জানা যায়।

স্মারকলিপিতে জানানো হয়-
১) সার্বিক বিবেচনায় লকডাউন পরবর্তীতে সকল প্রকার সামাজিক অনুষ্ঠান সুষ্ঠসম্পাদনের দিকে দৃষ্টি রেখে এই প্রতিষ্ঠানগুলি  খোলা রাখার অনুমতি প্রদান করার জন্য আবেদন ।

২) বিগত লােকসভা নির্বাচনজনীত কারনে এবং অন্যান্য কাজের জন্য বিভিন্ন  সরকারী দপ্তরে বহু অর্থ প্রাপ্য-বকেয়া রয়েছে  যা পরিশােধের নির্দেশদান করার জন্য আবেদন।  

৩) স্বল্প পুজির ব্যবসায়ীদের স্বল্পসুদে দীর্ঘমেয়াদী ঋনপ্রদান সহ সরকারি অনুদান, আর্থিক প্যাকেজ মঞ্জিরের আবেদন।

৪) ডেকারেটর শিল্পকে ক্ষুদ্র শিল্পের অন্তর্ভুক্ত করে  ১৮% জি এস টির পরিবর্তে ৫ % হারে জি এস টি লাগু । 
৫) লকডাউনের পরবর্তী সময়ে অনুষ্ঠানতব্য সকল সরকারী ডেকারেটং সংক্রান্ত কাজে ডেকারেটের ব্যবসায়ীদের কাজে নিযুক্তিকরণ, সিভিল কন্ট্রাকটারদের পরিবর্তে ডেকারেটর ব্যবসায়ীদের অগ্রাধিকার।   

৬) বাঙালির সর্ববৃহৎ উৎসব শারদোৎসব ও ওপরবর্তী সময়ে বৎসরব্যাপী এই শিল্পের সঙ্গে যুক্ত প্রয়ােজনীয় মাল পরিবহনের বিভন্ন হয়রানিকর অবস্থা নিরসনে প্রশাসক সহায়তা নিশ্চিতকরন। 


ইউনিটের সভাপতি শেখর চন্দ্র দে জানান- " অবিলম্বে শ্রমিক-মালিক সহ অন্যান্যদের আর্থিক সঙ্গতি বিবেচনা করে সরকার যাতে দৃষ্টি দেয়, আমরা সেই আবেদন জানাই।" 

সম্পাদক নিখিল চন্দ্র অধিকারী জানান- " পূজা পার্বন থেকে সরকারি-বেসরকারি সমস্ত সামাজিক কাজকর্মে ডেকারেটার্সের প্রয়োজন হয়, কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে আমরা কর্মহীন হয়ে পড়ে আছি। অথচ সরকার আমাদের দিকে কোনরূপ দৃষ্টি দিচ্ছে না। এরকম ভাবে চললে আমাদের বৃহত্তর আন্দলনের কথা ভাবতে হবে।'

বিস্তারিত ভিডিওতে-