সুরশ্রী রায় চৌধুরীঃ

করোনার ভয় এ সবাই জুজু এরই মধ্যে আস্তে আস্তে দোকান পাঠ স্কুল কলেজ সবই খুলতে চলছে। শুরু হচ্ছে পরিবহন ব্যবস্থা। তবে এক্ষুনি মন্দির খুলতে চাইছে না মন্দির কর্তৃপক্ষ।

শুক্রবার নবান্নে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষনা করেছিলেন যে আগামী ১ জুন থেকে ধর্মীয় স্থানের দরজা খুলবে। কিন্তু এই ঘোষনার পর‌‌ও মন্দির না খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বেলুর, দক্ষিনেশ্বর, তারকেশ্বর কর্তৃপক্ষ। 

নবান্নে মুখমন্ত্রী জানায়েছিলেন যে যথেষ্ট বিধিনিষেধ মেনে ধর্মীয় স্থান খোলা যাবে। কোনোরুপ জমায়েত করা যাবে না মন্দির-মসজিদ প্রাঙ্গনে। তবে এখন‌ই মন্দির খুলতে নারাজ উক্ত তিন মন্দির কর্তৃপক্ষ। তারা জানিয়েছেন আগামী ১৫ দিনের পর তারা মন্দির খোলার ব্যাপারে ভেবে দেখবেন, তার আগে নৈব নৈব চঃ। বেলুর কর্তৃপক্ষের আশা আগামী মাসের ২০ তারিখের মধ্যে হয়তোবা ভক্তরা মঠে প্রবেশাধিকার পেতে পারেন। বেলুর মঠের সাধারণ সম্পাদক স্বামী সুবিরানন্দ জানিয়েছেন, মঠ খুললেও কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মানা হবে। থার্মাল স্ক্রিনিং এর ব্যবস্থা থাকবে, জুতো রাখার বিষয়েও নয়া বিধি আরোপ করা হতে পারে। তাই আপাতত মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মানছেন না বেলুরমঠ-দক্ষিনেশ্বর-তারকেশ্বর মন্দির কর্তৃপক্ষ। 

অনুরুপভাবে দক্ষিনেশ্বর মন্দিরের সম্পাদক কুশল চৌধুরী জানিয়েছেন ১৫ জুনের আগে মন্দিরের দরজা খুলবে না কোনোমতেই। মায়ের দর্শন পেতে ভক্তদের কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে নিতে হবে মন্দির প্রাঙ্গনে। তারকেশ্বর মন্দিরেও কর্তৃপক্ষ‌ও জানিয়েছেন যে ১ জুন মন্দির খোলার কোনো সম্ভাবনা নেই।