File Picture
করোনা সংক্রমণ রুখতে সারা দেশে চলছে তৃতীয় দফার লক ডাউন। ১৭ই মে পর্যন্ত রয়েছে সেই লক ডাউন। তাঁর আগেই আজ বিকাল তিনটায় স্ব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রী বৈঠকে বসেছেন। করোনা ভাইরাসের সামগ্রিক সংকট নিয়ে আলোচনা করতে এনিয়ে পঞ্চমবার মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকে বসেছেন প্রধানমন্ত্রী। মনে করা হচ্ছে, আগামী ১৭ মে তারিখের পর দেশের সর্বস্তরে জারি থাকা লকডাউন তুলে দেওয়ার পথেও হাঁটতে পারে কেন্দ্র। এদিকে গতকাল রেলের তরফ থেকে ১৫ জোড়া রেল চালানোর কথা ঘোষণা করা হয়েছে। 
আজকে প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে বৈঠক করেন সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা। অনেক বিষয় নিয়ে সমস্ত মুখ্যমন্ত্রী প্রাধানমন্ত্রীর কাছে তাঁদের বক্তব্য রাখেন বলে জানা গেছে। যদিও বিগত বৈঠকগুলোতে সব মুখ্যমন্ত্রীর কথা বলার সুযোগ পাননি। 

এদিনের আলোচনায় যে বিষয়গুলি উঠে এসেছে বলে জানা গেছে-

১। ধীরে ধীরে যাত্রী পরিষেবা পুনরায় চালু করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। 

২। ১২ মে থেকে, রেলওয়ে নয়াদিল্লি থেকে ১৫ টি ট্রেন চালাবে বলে জানানো হয়। আগামী দিনগুলিতে, ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানো হবে এবং স্বাভাবিক পরিষেবা পুনরুদ্ধার করা হবে বলে একটি বিবৃতিতে সরকার একথা জারি করেছে। যাত্রীদের অবশ্য সামাজিক দূরত্বের নিয়ম মেনে চলতে হবে।

৩।এদিকে বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের নিয়ে ভিডিও কনফারেন্সে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সামনে করোনা নিয়ে কেন্দ্র সরকার রাজনীতি করছে বলে তোপ দাগলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। এই সময়ের খবর অনুযায়ী, করোনা পরিস্থিতি ও লকডাউনে নিয়ে হওয়া বৈঠকে তিনি বলেন, কেন্দ্র করোনা-যুদ্ধে তাদের পছন্দের রাজ্যগুলির প্রতি পক্ষপাতিত্ব করছে এবং একটি নির্দিষ্ট স্ক্রিপ্ট মেনে কাজ করছে। তাঁর কথায়, 'কেউ আমাদের পরামর্শ দিতেও বলছে না।' 

তৃতীয় দফার লকডাউন শেষ হওয়ার এক সপ্তাহ আগেই সোমবার মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে ভিডিয়ো বৈঠকে যোগ দেন নমো। করোনা মোকাবিলায় পরবর্তী রণকৌশল নিয়ে আলোচনা প্রয়োজন বলে বৈঠকে জানান তিনি।

৪) বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী সমস্ত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের জানান গ্রামাঞ্চলে যাতে করোনা না ছড়ায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে আমাদের।

৫) এদিন মোদীর সামনে তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও জোর গলায় রেল পরিষেবা চালুর বিরোধিতা করে বলেন, 'আমরা করোনা রোধে পুরোপুরি তৈরি। তবে আমি মনে করি রেল পরিষেবা চালু করা ভুল। আমরা এভাবে করোনা রোধ করতে পারব না। আমি কেন্দ্রের কাছে আবেদন জানাচ্ছি যাতে রেল পরিষেবা এখন স্থগিত রাখা হয়।'