চতুর্থ দফার লক ডাউন আরম্ভ হয়েছে আজ থেকেই। গতকাল চতুর্থ দফার লক ডাউন নিয়ে একটি গাইড লাইন জারি করেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র দপ্তর। আজ করোনা পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগেই জানা গেছে বেশ কিছু বিষয়ে ছাড় মিলতে চলেছে চতুর্থ দফার লক ডাউনে।

সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা জেনে নেওয়া যাক এক নজরে- 

  • কনটেনমেন্ট-এ ছাড়া সব এলাকায় ২১ তারিখ থেকে বড় দোকান খুলবে। 
  • ২৭ মে থেকে নির্দিষ্ট পদ্ধতি মেনে জোড়-বিজোড় নীতি মেনে খুলবে হকার্স মার্কেট। প্রয়োজনীয় সব সতর্কতা নিয়ে খুলতে হবে। ‘তার আগে বাজার স্যানিটাইজ করতে হবে’। 
  • সামাজিক দূরত্ব মেনে খোলা থাকবে হোটেল। আপাতত রেস্তোরাঁ চালু হবে না।
  • ২১ তারিখ থেকে আন্তঃজেলা বাস চালু।
  • ‘২৭ তারিখ থেকে অটোয় ২ জন করে যাত্রী’ ‘অটো চালানোর আগে পুলিশের সঙ্গে বৈঠক করতে হবে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। 
  • ‘বাস ও ট্রেনে আড়াই-তিন লক্ষ বাংলায় এসেছে। রাজনৈতিক দলগুলিকে বলব সহযোগিতা করুন।উস্কানি নয়, এটা রাজনীতি করার সময় নয়।
  • সন্ধে ৭-সকাল ৭ পর্যন্ত সীমানায় আসবেন না। সীমানায় এলে আগে খবর দিন। 
  • ‘স্যানিটাইজ করে সেলুন, বিউটি পার্লার খোলা যাবে। 
  • একদিন অন্তর সরকারি ও বেসরকারি অফিস খুলবে। 
  • সেলুন, বিউটি পার্লারেও সামাজিক দূরত্ব মানতে হবে। 
  • সরকারিভাবে কার্ফু ঘোষণা করছি না। কিন্তু বেআইনি জমায়েত করলে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে।
  • পরিযায়ীদের জন্য ১০০টি ট্রেন বুক করেছে পশ্চিমবঙ্গ।
  • ২-৩ দিনের মধ্যে আরও ১২০ টি চাইব। 
  • প্রতিদিন ১০টি করে ট্রেন ঢুকবে রাজ্যে। ২৩৫টি ট্রেনের সব খরচ বহন করবে রাজ্য সরকার।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বাইরে বাংলার ২০-২৫ লক্ষ লোক আছে, এটা ভুল। পাশাপাশি তিনি অন্য রাজ্য গুলোকে পরিযায়ী শ্রমিকদের যত্ন নেওয়ার পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, একসঙ্গে এত মানুষ ঢুকলে কীভাবে স্ক্রিনিং সম্ভব। সরকারকে সময় দিন, পরিকল্পনা করে কাজ হচ্ছে। কেউ কেউ ঘোলা জলে মাছ ধরতে নেমেছে। অনেক রাজ্য পরিযায়ীদের দায়িত্ব পালন করছে না। এই দুঃসময়ে কোনও ভেদাভেদ নয়। জেলাগুলিও যাতে ভাল থাকে তাও দেখতে হবে। সবাই ফিরুক চাই, কিন্তু সংক্রমণ ছড়ালে কী হবে। অনেকে প্ররোচনা দিচ্ছেন, তারা ক্ষমতায় থেকে কী করেছেন। কেন্দ্র পরিযায়ী শ্রমিকদের কাছ থেকে টাকা নিচ্ছে। গ্রাম বাংলায় অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড শুরু হয়ে গিয়েছে।

পাশাপাশি, এদিন মুখ্যমন্ত্রী নার্সদের চলে যাওয়া নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন। ভিনরাজ্যের ৩০০-৩৫০ নার্স চলে যাওয়ায় প্রাথমিক কাজ করতে পারেন এমন কাউকে নেওয়ার কথা জানান তিনি, সেক্ষেত্রে অবসরপ্রাপ্তরা আবেদন করলে নিয়োগের সুযোগ। সরকারি ও বেসরকারি ক্ষেত্রে নিয়োগের সুযোগ রয়েছে। তিনি বলেন, মুখ্যসচিবকে বলেছি এমন হেল্পার নিয়োগ করতে হবে। পুরুষ-মহিলা হেল্পার নিয়োগ করতে হবে। নিয়োগের আগে প্রশিক্ষণ দিতে হবে।

সোমবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘মানুষের জীবন-জীবিকা চালু রাখতে হবে। সামাজিক দূরত্ব মেনে খোলা থাকবে হোটেল। কন্টেনমেন্ট জোন তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে। কন্টেনমেন্ট এ -ক্ষতিগ্রস্ত জোন, কন্টেনমেন্ট বি-বাফার জোন, কন্টেনমেন্ট সি-ক্লোন জোন।’