করোনার মাঝেই রাজ্য বিপর্যস্ত ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের হানায়। বিধ্বস্ত দক্ষিনবঙ্গের বহু এলাকা। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী স্বয়ং বিপর্যস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন। এরপর, রাজ্যকে ১০০০ কোটি টাকা আম্ফান মোকাবিলায় সাহায্য করেন। সূত্রের খবর, সেই টাকা দিয়ে দিয়েছে কেন্দ্র। এদিকে, মঙ্গলবার রাজ্য সরকার আম্ফান মোকাবিলায় ব্যর্থ বলেই প্রধানমন্ত্রীকে এক খোলা চিঠি দেন রাজ্যের কংগ্রেস সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী। 

চিঠিতে অধীর জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গে আমফান বিপর্যয় মোকাবিলায় কোনো আশানুরূপ ফল দেখা যায় নি। বিপুল অঞ্চল জলমগ্ন, এমনকি সমুদ্রের নোনা জল ঢুকে গেছে, পানীয় জলের চরম সংকট, বিভিন্ন পশুপাখির পচনশীল মরদেহ জল কে আরও দূষিত করছে। পশ্চিমবঙ্গের বিরাট অংশে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন, এমনকি রাজধানী কলকাতাতেও একই অবস্থা, বিদ্যুতের অভাবে এই গ্রীষ্মের প্রখর দাবদাহে বহু মানুষের জীবন বিপন্ন, বহু অসুস্থ মানুষের পরিস্থিতি অত্যন্ত শোচনীয় গত সাত দিন বিদ্যুৎ পরিষেবা ব্যহত থাকায়।

তিনি আরও লেখেন, রাজ্যসরকার পশ্চিমবঙ্গের মানুষকে এই ভয়াবহ পরিস্থিতি থেকে উদ্ধার করতে চরম ব্যর্থ।সেইকারণে আপনাকে অনুরোধ, যত শীঘ্র সম্ভব রাজ্য সরকারের সম্মতিক্রমে বিপর্যস্ত এলাকায় পর্যাপ্ত ভারতীয় সেনা নামিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করুন, নতুবা, আগামী দিনে গোটা রাজ্য চরম সঙ্কটের সম্মুখীন হবে।