আম্ফানে বিধ্বস্ত দক্ষিনবঙ্গ। একদিকে যখন করোনার দাপট চলছে তখন আম্ফান ঘূর্ণিঝড়ও থাবা মারলো রাজ্যে। ঘূর্ণিঝড়ের দাপটে ভেঙেছে বহু গাছ, ভিজেছে বই, ব্যহত বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেট পরিষেবা। গতকালই, ঘূর্ণিঝড়ের পরবর্তী পরিস্থিতি দেখতে রাজ্যে এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এমন পরিস্থিতিতে আগামী ২৬শে মে পর্যন্ত পরিযায়ী শ্রমিকদের আসা ট্রেন বন্ধ রাখার আবেদন করলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 

পরিযায়ী শ্রমিকদের ঘরে ফেরার দরুন করোনা সংক্রমণের বৃদ্ধির সম্ভাবনা। ফলে একসাথে করোনা ও আম্ফান পরিস্থিতি সামাল দিতে ধাক্কা খাবে সরকার। এই মর্মে রেল মন্ত্রককে চিঠি পাঠিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা। 

আধিকারিকরা সকলে ত্রাণ কার্যে ব্যস্ত। তাই এই মুহূর্তে কোনও শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন না পাঠানোর জন্য রেল মন্ত্রককে অনুরোধ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছেন, সব জেলা প্রশাসন এখন ত্রাণ ও পুনর্গঠনে ব্যস্ত, আগামী কয়েকদিন তাই শ্রমিক স্পেশাল ট্রেনকে স্বাগত জানানো সম্ভব নয়। তাই ২৬ তারিখ পর্যন্ত এই ট্রেন রাজ্যে পাঠানো বন্ধ রাখা হোক।