মা দেবী রক্ষিত। দিনহাটার ছাত্র রাজনীতিতে এক প্রতিবাদের ইতিহাস। আজ তাঁর মেয়ে সাঝঁবাতির মুখেভাত। লকডাউনে আর পাঁচজন যেভাবে অল্প আয়জনে কিংবা স্বাস্থ্যবিধান মেনে বাড়িতে অতিথি নিমন্ত্রণ করে অনুষ্ঠান করে মুখেভাতের অনুষ্ঠান করে তেমন ভাবে করতেই পারত দেবী এবং রাহুল এর পরিবার। না তেমনটি করে নি। মেয়ের মুখে ভাতে ভাতের কষ্টে যারা দিন যাপন করছে তাদের মুখেই ভাত তুলে দিল। 

দিনহাটার নিষিদ্ধ পল্লী এলাকার প্রায় ১৫০ জন সাধারণ মানুষের হাতে খাদ্যসামগ্রী তুলে দিল সাঁঝবাতির মা দেবী রক্ষিত। 

১ বছর অতিক্রম করলো সংবাদ একলব্য। আপনাদের সহযোগিতায় এভাবেই এগিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন দেখে। প্রতিটা মুহূর্তে আপনাদের সাথে থাকার দৃঢ় অঙ্গীকার সংবাদ একলব্য’র। আপনার আশেপাশে ঘটেচলা ঘটনা জানান আপনি, আপনিই আপনার এলাকার মুখপত্র। আমাদের ফেসবুক পেজে SMS করুন ঘটনার বিবরণ ছবি/ভিডিও সহ।

আমাদের ফেসবুক পেজের টপ ফ্যানদের মধ্যে লাকি কয়েকজনকে প্রতিমাসে দেওয়া হবে উপহার। তাই নিয়মিত লাইক-কমেন্ট-শেয়ার করুন।


মহতী এই উদ্যোগকে স্মরণীয় করতে উপস্থিত ছিলেন মহকুমা শাসক শেখ আনসার আহমেদ এবং বিভিন্ন সমাজসেবী সংগঠনের সদস্যরা।

দেবী রক্ষিত আমাদের প্রতিনিধিকে জানিয়েছে- " আমি যখন ছাত্র রাজনীতির সাথে ছিলাম তখন থেকেই সাধারণ মানুষের পাশে থাকার ইচ্ছে ছিলও। একসময় জনগননার কাজের ডিউটি পরে রেড লাইট এলাকায়- তখন খুব কাছে থেকে তাদের কষ্ট গুলো দেখে ছিলাম। সেদিন থেকেই মনে ইচ্ছে ছিল নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে তাদের জন্য কিছু করবো। কিন্তু এখনো বেকার। এমপ্লয়মেন্ট ব্যাঙ্কের ১৫০০ টাকা করে যেটা পেতাম তা জমিয়েছিলাম । আজ সেই টাকাটা কাজে লাগলো। আমার মা আর রাহুল মানসিক ভাবে আমাকে সাপোর্ট করায় আমার ইচ্ছে আজ মেয়ের এই বিশেষ দিনে পূর্ণতা পেলো। খুব সামান্য হলেও আজ তাদের পাশে থাকতে পেরে ভীষণ ভালো লাগছে।"