আম্ফান ঘূর্ণিঝড়ে বিধ্বস্ত পশ্চিমবঙ্গের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে সকালেই রাজ্যে এসেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বিমান বন্দরে অভ্যর্থনা জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর পরেই হেলিকপ্টারে করে প্রধানমন্ত্রী- মুখ্যমন্ত্রী ক্ষতিগ্রস্থ বেশ কিছু এলাকা পরিদর্শন করেন।

এরপরেই, বসিরহাটে প্রশাসনিক বৈঠকে যোগ দেন মোদী- মমতা। সঙ্গে রয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনেকড়। এদিনের এই বৈঠকে রাজ্যে আম্ফানের জেরে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকায় ত্রান ও পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার বিষয়ে আলোচনা হবে। রাজ্যের তরফে ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কিত একটি রিপোর্ট প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেওয়া হবে। বসিরহাটে বৈঠক সেরে এরপর ওড়িশায় উমপুন-বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শনে যাওয়ার কথা প্রধানমন্ত্রীর।

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে রাজ্য সফরে এসেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়, দেবশ্রী চৌধুরী, ধর্মেন্দ্র প্রধান ও প্রতাপচন্দ্র সারেঙ্গি।

বসিরহাটে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র জানান, রাজ্য এবং কেন্দ্র সরকার সাইক্লোন আম্ফান দ্বারা ক্ষতিগ্রস্থ লোকদের সাথে আছে। মে মাসে, দেশ নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত ছিল এবং সেই সময় ওডিশাকে ঘোরানো একটি ঘূর্ণিঝড়ের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হয়েছিল। এখন এক বছর পর এই ঘূর্ণিঝড়টি আমাদের উপকূলীয় অঞ্চলগুলিকে প্রভাবিত করেছে। পশ্চিমবঙ্গের জনগণ এর দ্বারা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। 

পাশাপাশি, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ঘোষণা করেন, সাইক্লোন আমফানের প্রেক্ষিতে পশ্চিমবঙ্গের তাৎক্ষনিক সহায়তার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার বরাদ্দ করছে এক হাজার কোটি টাকা। 

আম্ফান পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে ও ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে অবগত করতে রাজ্যে কেন্দ্রের তরফে একটি দল পাঠানো হবে বলেই জানানলেন প্রধানমন্ত্রী। পুনর্বাসন ও পুনর্গঠন সম্পর্কিত সমস্ত দিক বিবেচনা করা হবে।

এদিন প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেন, আম্ফানে মৃতদের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা ও যারা গুরুতর আহত হয়েছেন তাঁদের ৫০০০০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। 

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, বিশ্ব এক সংকটে লড়ছে। ভারতও করোনার সাথে লড়ছে। তবে, করোনা লড়াই ও ঘূর্ণিঝড়ের লড়াই পুরোপুরি আলাদা। করোনা ভাইরাসের সাথে লড়তে যে যেখানে আছেন সেখানেই থাকেন, বিশেষ কাজ ছাড়া বাইরে যাবেন না, যেখানে যাই সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। কিন্ত, ঘূর্ণিঝড়ে জেতার মন্ত্র, সাইক্লোনে নিরাপদ স্থানে যাওয়া, ঘর খালি করা। দুটো আলাদা প্রক্রিয়া যা মুখোমুখি করতে হয়েছে পশ্চিমবঙ্গকে। মমতা বন্দপাধ্যায়ের রাজ্য সরকার পুরো প্রচেষ্টা করেছে সাথে রয়েছে ভারত সরকারও।