আজ বাংলা নববর্ষের শেষ দিন। করোনা সংক্রমণ রুখতে তৎপর সরকার আর তাই দেশজুড়ে চলছে লক ডাউন। এর জেরে খেটে খাওয়া মানুষের রোজগার বন্ধ। নববর্ষ উদযাপন এবারের মতো বন্ধ বাঙালির ঘরে ঘরে। একদিকে করোনার ভয় অন্য দিকে ক্ষুধার জ্বালা। এই দুইয়ের মধ্যবর্ত্তী অসহায় পরিস্থিতির স্বীকার সেই রকম বেশ কয়েকটি পরিবারের পাশে দাঁড়ালেন পশ্চিম মেদিনীপুরের রাউতাশোলের শিক্ষক বিপ্লব মাহাত।
তিনি সাধ্যমত একশটি পরিবারের হাতে চাল,ডাল,আটা,তেল,সোয়াবিন, আলু,পিঁয়াজ, বিস্কুট, সাবান তুলে দেন। যারা পেয়েছেন তারা ছাড়াও এলাকাবাসী এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। শিক্ষক বিপ্লব মাহাত এর সাথে এদিন এই কর্মযজ্ঞে সামিল হয়েছেন আরও বেশ কয়েকজন যুবক। উপস্থিত ছিলনে গ্রামীণ চিকিৎসক পন দাস। এদিন তিনি এই কর্মযজ্ঞে সামিল হতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছেন। সাথে সাথে হাজির হওয়া সকলকে করোনা মোকাবিলায় এগিয়ে আসার জন্য আহ্বান করেন। মানুষের মাঝে সচেতন বার্তা পৌঁছে দেন।
এলাকার বাসিন্দা হরেণ মাহাত বলেন, "বিপ্লব বাবু সবসময়ই বিভিন্ন ভাবে এলাকাবাসীর পাশে থাকেন,আমি নিজে একজন শিক্ষক হয়ে উনার এই উদ্যোগে সামিল হতে পেরে ধন্য।"
প্রাপকদের একজন উপেন মাহাত বলেন, "আমরা দিনমজুর রেশন থেকে শুধু চাল,গম পেয়েছি তাতে সারামাস যাবে না, তাই এটা পেয়ে আমার ভালোই হল,আমি খুশি, ধন্যবাদ শিক্ষক বিপ্লব বাবুকে।"
উদ্যোক্তা বিপ্লব মাহাত বলেন, "আমি চাই এই অসময়ে সামর্থ্য যাদের আছে তারা সবাই যেন মানুষের জন্য ভাবেন,পৃথিবীর প্রত্যেকটি মানুষ ভালো থাকুন, সচেতন থাকুন এবং সরকারি নির্দশিকা মেনে চলুন।"
তাছাড়া যারা মানুষের পাশে থেকেছেন তাদের সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি। এভাবেই এই বর্ষকে বিদায় জানালেন খড়্গপুর গ্রামীণের শিক্ষক বিপ্লব মাহাত। তার এই মহৎ উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করেন স্থানীয়রা।
নববর্ষের শুভেচ্ছাপত্র FREE DOWNLOAD
নববর্ষের শুভেচ্ছাপত্র FREE DOWNLOAD
Social Plugin