গোটা দেশে পণ্য সরবরাহ অব্যাহত রাখতে ও অত্যাবশ্যক পণ্য সামগ্রীর যোগান দিতে ভারতীয় রেল সময়সূচি ভিত্তিক পণ্যবাহী ট্রেন পরিষেবা চালু করেছে। এর ফলে কৃষি ও শিল্প ক্ষেত্রের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের কাছে প্রয়োজনীয় সামগ্রী সময়মতো পৌছে দেবার কাজ আরও মসৃণ হবে।

গোটা দেশে পণ্য সরবরাহ অব্যাহত রাখতে ভারতীয় রেলের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গুলি হলো- 


১। লকডাউন কালে ৫৮টি রেলপথে ১০৯ টি বিশেষ পণ্যবাহী ট্রেন পরিষেবার বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছে। ৫ই এপ্রিল ২০২০ পর্যন্ত ২৭টি রেলপথ চিহ্নিত করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৭টি নিয়মিত পরিষেবার অন্তর্গত। পাশাপাশি ৪০টি নতুন রেলপথ চিহ্নিত করা হয়েছে। এই পথে দ্রুততার সঙ্গে দেশের গুরুত্বপূর্ণ শহর গুলিতে প্রয়োজনীয় সামগ্রী পৌছে দেওয়া হবে।


২। গ্রাহকদের চাহিদা অনুযায়ী এই সময়সূচি ভিত্তিক পণ্যবাহী ট্রেনের পরিকল্পনা করা হয়েছে। এই পণ্যবাহী ট্রেন গুলি মূলত দিল্লি, মুম্বাই, কোলকাতা, চেন্নাই, হায়দ্রাবাদ এবং বেঙ্গালুরুর মধ্যে সংযোগ স্থাপন করবে।


৩। এছাড়াও এই ট্রেন গুলি ভোপাল, এলাহাবাদ, দেরাদুন, বারাণসী, রাঁচি, গোরখপুর, তিরুবনন্তপুরম, সালেম, ওয়ারঙ্গল, বিজয়ওয়াড়া, বিশাখাপত্তনম, রৌড়কেল্লা, বিলাসপুর, ভুশোয়াল, টাটানগর, জয়পুর, ঝাঁসী, আগ্রা, নাসিক, নাগপুর, জলগাওঁ, সুরাত, পুনে, রায়পুর, পাটনা, আসানসোল, কানপুর, বিকানের, আজমেঢ়, গ্বালিয়র, মথুরা, নেল্লোর, জাবালপুরের মতন শহর গুলির সঙ্গে সংযোগ করবে।


৪। এছাড়াও ভারতীয় রেল দুধের জন্য বিশেষ ট্রেন চালাচ্ছে। গুজরাটের পালানপুর থেকে দিল্লীর পল্ওয়াল এবং অন্ধ্রপ্রদেশের রেনিগুংতা থেকে দিল্লী।


৫। দুগ্ধজাত সামগ্রীর জন্য গুজরাটের কন্করিয়া থেকে কানপুর আর সাঁকরাইল অব্দি ট্রেন চলছে।


৬। অন্যান্য সামগ্রীর জন্য পাঞ্জাবের মোগা থেকে অসমের চাঙসারি পর্যন্ত পণ্যবাহী বিশেষ ট্রেন চলছে।


৭। দেশের সব অংশে সংযোগ স্থাপনের জন্যে যে সব অঞ্চলে চাহিদা কম সেখানেও সময় ভিত্তিক পণ্যবাহী ট্রেন পরিষেবা চালু করা হয়েছে।


৮। এই পরিষেবার অন্তর্গত পণ্য পরিবহণ করতে বা এই পরিষেবার সুবিধা কোনো সংস্থা বা ব্যক্তি নিতে পারেন।


৯। সম্প্রতি যে সব পণ্য গুলি নিয়ে যাওয়ার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে তা হলো ডিম, ফল, সবজি, মাছ, ওষুধ, চিকিৎসা সরঞ্জাম, মাস্ক, দুধ, দুগ্ধজাত পণ্য, বীজ ইত্যাদি।


১০। পণ্যবাহী ট্রেন গুলি যাত্রাপথে সব এলাকার নির্দিষ্ট স্টেশনে পণ্য ওঠানামার কাজ করবে। ট্রেন গুলির সময়সূচি খবরের কাগজে প্রকাশ করা হয়েছে।


source:pib