গৌতম সাহা,পুরুলিয়া:

‌বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাসের দাপটে থরহরিকম্প।এখনও পর্যন্ত প্রায় ২১০ টি দেশ এই ভাইরাসে আক্রান্ত।ক্ষনে ক্ষনে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা,পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃত্যুহার।মহামারীর রূপ নেওয়ায় গতমাসের ২৪ শে মার্চ থেকে আমাদের দেশেও লকডাউন চলছে।বন্ধ হয়েছে ট্রেন,বাস সহ সমস্ত যানবাহন।বিদ্যালয়,অফিস,আদালত সহ সমস্ত ব্যাবসায়িক প্রতিষ্ঠান বন্ধ।থেমে গেছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা, স্তব্ধ হয়ে গেছে মানুষের কর্মজীবন।জীবন বাঁচানোর তাগিদে মানুষ আজ গৃহবন্দী। 

সবথেকে সমস্যায় সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ সহ গ্রামের গরীর মানুষেরা।একে তাদের রোজগার নেই তারপর প্রত্যন্ত গ্রামে নেই নিত্য প্রয়োজনীও জিনিসপত্রের দোকানপাট। তাই কোন রকম অাধপেটা খেয়েই জীবন কাটছে এই সকল প্রত্যন্ত গ্রামের গরীব মানুষদের। কোখাও কোথাও কেবল কচু পাতা ও ওল সেদ্ধ খেয়েই বেঁচে থাকার স্বপ্ন দেখছে এই সব দিনদরিদ্র মানু্ষজন।

গতকাল ‌পুরুলিয়া জেলায় পুরুলিয়া ১ নং ব্লকের এই রকম একটি প্রত্যন্ত গ্রাম রামনগরে ১১২ টি পরিবারকে চাল, ডাল, মশলা, তেল, নুন, বিস্কুট, সাবান দিয়ে সহায়তা করল এই জেলার বিভিন্ন স্কুল,কলেজের NCC ক্যাডেটের বেশ কয়েকজন প্রাক্তন ছাত্র। তবে তাদের এই মানবিক কাজে পুরুলিয়া রেড ক্রস সোসাইটিও সহযোগিতা করেছেন।

প্রশাসনের পক্ষ থেকেও বিভিন্ন গ্রামে হয়তঃ এখনও সাহায্য পৌছে দেওয়া সম্ভব হয়ে ওঠেনি।কিন্তু বিভিন্ন রাজনৈতিক দল,সংগঠন বা কিছু সহৃদয় ব্যাক্তিরা মিলে নানা জায়গায় গরীব,অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছেন।

সমগ্র কর্মসূচীটি হয়েছে সামাজিক দুরত্ত্ব মেনে এবং প্রতিটি মানুষই যে ভাবে সু-সৃঙখল ভাবে সাহায্যের জিনিসপত্র সংগ্রহ করেছেন তা প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে অনেক দুরের শিক্ষিত সমাজেও বিরল। রামনগর গ্রামের সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষজন এই রকম সাহায্য পেয়ে খুবই আনন্দিত।

সাহায্যকারী এক প্রাপ্তন ছাত্রের সঙগে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান লকডাউনের পর থেকেই তারা বিভিন্ন গ্রামে এরকম সাহায্য করে আসছেন এবং আগামীদিনে এইভাবে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াবেন।