করোনা মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নির্দেশে সারা দেশে ২১ দিনের লক ডাউন চলছে। লক ডাউন চললেও সংক্রমণ প্রতিনিয়ত বাড়ছে। তাই, লক ডাউন বাড়বে কিনা এনিয়ে মুখ্যমন্ত্রীদের সাথে ভিডিও কনফারেন্সে বৈঠক করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এদিন তিনি নিজেও মাস্ক পরে বৈঠকে অংশ গ্রহণ করেন।
এই বৈঠকে বেশ কয়েকটি দাবি পেশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তিনি বলেন,
লকডাউন করতে হবে সফল এবং সক্রিয়ভাবে। তবে লকডাউনেও মানবিক দিকগুলি খেয়াল রাখতে হবে।
মানুষের জীবন ও জীবিকার মধ্যে সমতা বজায় রাখতে হবে।
নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের জোগান বাজায় রাখতে হবে।
নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের উত্পাদন ব্যবস্থা চালু রাখতে হবে।
আন্তর্জাতিক উড়ান পরিষেবা বন্ধ রাখা হোক।
দূরপাল্লার ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখা হোক।
আন্তর্জাতিক সীমান্ত বন্ধ রাখার দাবিও করেন।
দুই মাসের বেতন দেওয়া হোক ১০০ দিনের কর্মীদের।
অসংগঠিত শিল্পের শ্রমিকদের জন্য বিশেষ প্যাকেজ ঘোষণা করা হোক।
ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প, পর্যটন, কৃষিক্ষেত্রে বিশেষ প্যাকেজ দিতে হবে।
পরিযায়ী শ্রমিকদের বিষয়টি সহানুভূতির সঙ্গে বিবেচনা করতে হবে।
পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য খাবার ও তাঁদের দেখাশোনার ব্যবস্থা করতে হবে।
এদিনের এই বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীরা লক ডাউন বৃদ্ধির পক্ষেই সায় দেন। মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে কথা বলে প্রধানমন্ত্রীর মতপ্রকাশ করেন, 'আরও অন্তত ২ সপ্তাহ লকডাউন বাড়ানো উচিত'।
এদিনের এই বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীরা লক ডাউন বৃদ্ধির পক্ষেই সায় দেন। মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে কথা বলে প্রধানমন্ত্রীর মতপ্রকাশ করেন, 'আরও অন্তত ২ সপ্তাহ লকডাউন বাড়ানো উচিত'।
মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, ‘২৪ ঘণ্টা আমার ফোন খোলা, যখন খুশি ফোন করতে পারেন’ ‘করোনা নিয়ে যে কোনও সময় আলোচনায় রাজি।'
Social Plugin