সমগ্র দেশের মধ্যে কোভিড১৯ এর চিকিৎসা পশ্চিমবঙ্গেই সবথেকে ভাল হচ্ছে বলে শুক্রবার নবান্নে প্রশাসনিক বৈঠকে দাবি করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। 

সংক্রমণ মোকাবিলার ব্যবস্থাপনা নিয়ে আলোচনার জন্য এদিন নবান্ন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সব জেলার পুলিশ ও প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। জেলার স্বাস্থ্য অধিকর্তারাও সেখানে ছিলেন।

মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, “এখানে ট্রিটমেন্টে তো কোনও অসুবিধা নেই। সারা ভারতবর্ষের মধ্যে ট্রিটমেন্টে এখন বাংলায় সবচেয়ে ভাল হচ্ছে। সেগুলো কেউ বলে না। কেন বেশি হচ্ছে না তা নিয়ে অনেকের রাগ। মহা মুশকিল। যদি এখানে চার হাজার পাঁচ হাজার (আক্রান্ত) হতো তা হলে হয়তো খুশি হতো।”

বস্তুত গত কয়েকদিন ধরে বাংলায় প্রায় সমস্ত বিরোধী দল অভিযোগ করেছে যে পশ্চিমবঙ্গে পর্যাপ্ত সংখ্যায় কোভিড টেস্ট হচ্ছে না।  অভিযোগ, রাজ্যে প্রকৃতপক্ষে কতজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে সে কথা গোপন করছে নবান্ন। কোভিড পজিটিভ রোগী মারা গেলেও মৃত্যুর কারণ হিসাব অন্য কিছু দেখানো হচ্ছে। আর তাতে বিপদ বাড়ছে সাধারণ মানুষের। 

প্রসঙ্গত মুখ্যমন্ত্রী এদিন আরও বলেন, “একটা কথা ভুলে গেলে চলবে না। ভারতে আর কোথাও যখন লকডাউন হয়নি তখন তিন দিন আগে আমরা লকডাউন করেছিলাম। ইন্টারন্যাশনাল ফ্লাইট বন্ধ করা দরকার, দূরপাল্লার ট্রেন বন্ধ করা দরকার সে ব্যাপারে সবার আগে আমরা আওয়াজ তুলেছিলাম।”

এইদিন মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন-

১।পাঁচ জনের বেশি বাজারে একসাথে দাড়াবেন না।

২। মাস্ক ছাড়া বাজারে ঢুকতে দেওয়া হবে না।

৩। হাওড়া রেড স্টারে পরিনত হয়েছে- খুব দ্রুত গ্রিনে ফিরিয়ে আনতে হবে।

৪। উত্তর চব্বিশ পরগনায় ডেঙ্গুর শুরু হয়- করোনার ক্ষেত্রেও তাই- এই বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে মুখ্যমন্ত্রী জানান আগামী ১৪ দিনের মধ্যে অরেঞ্জ জোনে ফিরিয়ে আনতে হবে।

৫।  "যার যত পেয়ারের লোক হোক, কোনভাবেই ছাড় দেওয়া যাবে না।"

৬। ৫ হাজার গ্রীন পুলিশ উত্তর চব্বিশ পরগনায় কি করছে ?

৭। বেঙ্গল ভালো কাজ করলেও কিছু কমরেড বিভিন্ন বাহিনী শুধু পরামর্শ দিয়ে যায়- জ্ঞান দিয়ে যায়।