![]() |
pic source:economictimes.indiatimes.com |
করোনার প্রকোপে রীতিমত হাঁসফাঁস অবস্থা গোটা বিশ্বের। এখনও পর্যন্ত প্রতিষেধক আবিষ্কার না হওয়া এই ভাইরাসের সংক্রমণ কমাতে প্রধানমন্ত্রী লকডাউনের ঘোষণা করেছেন। কিন্তু নোবেলজয়ী ভারতীয় অভিজিত্ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর স্ত্রী এস্থার দুফলোর মতে করোনার মোকাবিলায় শুধু এই লকডাউনই যথেষ্ট নয়। তাঁদের মতে, লকডাউনের ফলে ভারতে করোনা-সংক্রমণের হারকে বশে রাখা গেলেও এর প্রসারকে রাশ টানাটা বেশ কঠিন। কারণ, নোভেল করোনাভাইরাস নিয়ে ওয়াকিবহাল হলেও বেশির ভাগ মানুষ এখনও জানেন না, এটি এড়াতে কোন কোন বিষয়ে লক্ষ রাখা উচিত। তাই এক লকডাউনে কি কি করণীয় সে বিষয়ে এই দম্পতি নয়টি পরামর্শ দিয়েছেন।
প্রথমত, প্রতিটি পরিবারের অন্তত একজন সদস্যকে করোনা নিয়ে ওয়াকিবহাল করতে হবে।
দ্বিতীয়ত, করোনা আক্রান্ত কোনো ব্যক্তি যাতে নিজেকে লুকিয়ে না রাখেন।
তৃতীয়ত, বিভিন্ন স্বাস্থ্যকর্মীদের সদা সর্বদা এই ভাইরাস আক্রান্তদের বিষয়টি নজরে রাখতে হবে।
চতুর্থত, গ্রামীণ এলাকার স্বাস্থ্যকর্মীদের বিশেষ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করবে হবে।
পঞ্চমত, করোনা সংক্রান্ত রিপোর্ট খুব দ্রুত ও দক্ষতার সাথে তৈরী করবে হবে, যা দেশের আক্রান্তদের পরিসংখ্যান গ্রাফ তৈরীতে সাহায্য করবে।
ষষ্ঠত, চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের নিয়ে একটি ভ্রাম্যমান দল তৈরী করবে হবে।
সপ্তমত, এই টিমের জন্য সমস্ত হাসপাতাল ও অন্যান্য প্ৰয়োজনীয় পরিকাঠামো ব্যবহারের ব্যবস্থা করবে হবে।
অষ্টমত, অর্থনৈতিক ভাবে অনগ্রসর শ্রেণীর মানুষদের জন্য সুরক্ষা প্রকল্পগুলির সুবিধা দিতে হবে।
এবং সবশেষে, এই মারণ ভাইরাসের প্রতিষেধক আবিষ্কৃত না হওয়া পর্যন্ত সরকারের উচিত এই 'যুদ্ধকালীন তৎপরতা' চালিয়ে যাওয়া।
source: link
আপনার আশেপাশের ঘটনা শেয়ার করুন আমাদের সাথে। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, sangbadekalavya@gmail.com ঠিকানায়। অবশ্যই জানাবেন কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা, সাথে আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।
Social Plugin