করোনা পরিস্থিতি নিয়ে গতকাল রাত আটটায় জাতির উদ্দ্যেশে ভাষন দেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি রবিবার 'জনতা কার্ফু' এর ডাক দিয়ে বলেছেন, ,''আগামী রবিবার ২২ মার্চ সকাল ৭ থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত সকল দেশবাসীকে জনতা কার্ফু পালনের অনুরোধ করছি।" এই মহামারিতে অর্থনৈতিক সমস্যা হ্রাস করার জন্য ১৯টি টাস্কফোর্স কথাও বলেন তিনি। সাথে সাথে নয়টি আবেদন জানান দেশবাসীকে-
১। প্রত্যেক ভারতীয় সতর্ক ও সচেতন থাকতে বলেন। সাথে জরুরী কাজ ছাড়া বাইরে না বেড়োনোর পরামর্শ দেন।
২। ৬০-৬৫ বছরের উর্ধ্বে ব্যক্তিরা ঘরের বাইরে বেরোবেন না।
৩। রবিবার, ২২ মার্চ সকাল ৭টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত পালন করুন জনতা কার্ফু।
৪.অন্যদের সেবায় নিয়োজিতদের ধন্যবাদজ্ঞাপনে রবিবার বিকেল ৫টায় হাততালি, থালা বাজান।
৫.রুটিন চেকআপ ছাড়া কেউ হাসপাতালে যাবেন না। শল্য চিকিত্সা জরুরি না হলে তারিখ পিছিয়ে দিন।
৬.করোনভাইরাসের ধাক্কায় দেশের অর্থনীতিকে বাঁচাতে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমনের নেতৃত্বে Covid-19 Economic Response Task Force-এর গঠন।
৭. করোনাভাইরাসের জেরে কাজে আসতে না পারলে চালক, মালি, রাঁধুনিদের বেতন কাটবেন না শিল্পপতি, উচ্চআয়ের ব্যক্তিরা।
৮.ভীত হবেন না। খাবার মজুত করার দরকার নেই। দেশে খাদ্যশস্যের ঘাটতি নেই।
৯.গুজব থেকে দূরে থাকুন।
Prime Minister Narendra Modi's nine requests on Navratri. #Coronavirus pic.twitter.com/qupJy4khJS— ANI (@ANI) March 19, 2020
প্রধানমন্ত্রীর বার্তা,''ভিড় থেকে বাঁচুন। ঘরের বাইরে যাবেন না। আপনারা ভাবছেন, ঠিক আছি, আমার কিছু হবে না। বাজারে ঘুরবেন, রাস্তায় যাবেন। এভাবে ভাবছেন করোনা থেকে বাঁচবেন! এটা ঠিক নয়। নিজের সঙ্গে ও প্রিয়জনের সঙ্গে অবিচার করে ফেলবেন। এজন্য সকল দেশবাসীকে অনুরোধ আরও কয়েক সপ্তাহ জরুরি কাজ না থাকলে বাড়ির বাইরে বেরোবেন না।''
এদিন জাতির উদ্দ্যেশে ভাষন দিতে গিয়ে তিনি বারবারই মনে করান করোনা ভাইরাস হেলাফেলার নয়। প্রত্যেককে সজাগ ও সতর্ক থাকতে হবে। বক্তব্যের শুরুতেই বিশ্বযুদ্ধকালীন পরিস্থিতির কথা টেনে আনেন প্রধানমন্ত্রী। দেশের মানুষকে এক জোট হয়ে এই মারণ রোগের বিরুদ্ধে লড়ার ডাক দেন নরেন্দ্র মোদি।
Social Plugin