'করোনা' আতঙ্কে জর্জরিত বিশ্ব। 'করোনা'-র ভয় মানুষের মনে জাঁকিয়ে বসেছে। সারা বিশ্বের প্রায় সব দেশেই ধীরে ধীরে 'করোনা'-র থাবা বেড়েই চলছে। তবে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই বিধি নিষেধ মেনে চললেই রক্ষা পেতে পারে যে কেউ।
তবে, করোনার সাথে সাথে চলে আসছে তিনটি বিষয় কোয়ারান্টাইন, হোম কোয়ারান্টাইন ও আইসোলেশন। যা শুনে ভয়ে আতকে ওঠার কিছু নেই। জেনে নেওয়া যাক কোয়ারান্টাইন, হোম কোয়ারান্টাইন ও আইসোলেশন সম্পর্কে।
তবে, করোনার সাথে সাথে চলে আসছে তিনটি বিষয় কোয়ারান্টাইন, হোম কোয়ারান্টাইন ও আইসোলেশন। যা শুনে ভয়ে আতকে ওঠার কিছু নেই। জেনে নেওয়া যাক কোয়ারান্টাইন, হোম কোয়ারান্টাইন ও আইসোলেশন সম্পর্কে।
কোয়ারান্টাইন
কোয়ারান্টাইন শব্দটির অর্থ 'সঙ্গনিরোধ'। সঙ্গনিরোধ হল একজনের থেকে আর একজনের দূরে থাকা। করোনা আক্রান্ত কোনও ব্যক্তিকে কোয়ারান্টাইন রাখার কারণ হল যেন আক্রান্তের শরীর থেকে অন্য কোনও সুস্থ ব্যক্তির শরীরে ভাইরাসটি সংক্রমিত না হয়।
হোম কোয়ারান্টাইন
'করোনা' সংক্রমিত কোনও ব্যক্তির সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিকে অবশ্যই হোম কোয়ারান্টাইনে থাকতে হবে। হোম কোয়ারান্টাইন আতঙ্কের বিষয় নয়। হোম কোয়ারন্টাইনে ব্যক্তিকে ১৪ দিন একটি নির্দিষ্ট ঘরে থাকতে হবে। সাথে সাথে কিছু বিধি নিষেধ মেনে চলতে হবে। স্কুল, কলেজ, উপাসনালয়, বাজার যাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। জমায়েতে উপস্থিত হওয়া চলবে না। গনপরিবহনে যাতায়ত করা থেকে বিরত থাকতে হবে। বাসনপত্র, বাথরুম আলাদা ব্যবহার করতে হবে। কারও সাথে সাথে জরুরী সাক্ষাৎ করতে হলে ৩ ফুট দূরত্ব বজায় রেখে কথা বলতে হবে।
আইসোলেশন
ভাইরাস আক্রান্ত কোনও ব্যক্তিকে সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত সকলের কাছ থেকে আলাদা রাখা। 'করোনা' আক্রান্ত ব্যক্তিকে সকলের সংস্পর্শ থেকে আলাদা রাখতেই আইসোলেশন। যেন ভাইরাস আক্রান্ত ব্যক্তি থেকে অন্য কোনও ব্যক্তির শরীরে সংক্রমিত না হয়। আইসোলেশনে আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা চলতে থাকবে। সুস্থ হলেই আইসোলেশন থেকে মুক্ত করা হবে।
কোয়ারন্টাইন, হোম কোয়ারান্টাইন ও আইসোলেশনে থাকা আপনার আপনজনকে নিয়ে চিন্তার কিছুই নেই। তাদের সাময়িক সময়ের জন্য সুরক্ষার স্বার্থে রাখা হয়েছে বা হবে। যাতে এই ভাইরাস একজন থেকে আর একজনে ছড়িয়ে না পড়ে। এতে যেমন রোগী সুরক্ষিত তেমনিই সুরক্ষিত আপনিও। সাথে সাথে আপনার চারিদিকের সকলেই সুরক্ষিত।
Social Plugin