করোনা এখন আতঙ্কের মূল কারণ। কিন্তু এই করোনা থেকে তখনই রক্ষা পাওয়া যাবে যদি মানুষ সামাজিক দূরত্ব (সোশ্যাল ডিসটেন্সিং) মেনে চলে। এমনটাই দাবি ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চের (আইসিএমআর)। নিজেকে সামাজিক জমায়েত থেকে দূরে রাখতে হবে তবেই ৬২ শতাংশ সংক্রমণ রক্ষা করা যাবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা প্রথম থেকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার নিধান দিয়েছেন। এর দ্বিতীয় সংক্রমণ এড়ানোর কোনও পদ্ধতি নেই।
সম্প্রতি ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চের (আইসিএমআর) গবেষকরা একটি গবেষণা করেন। গবেষণার ভিত্তিতে তাঁরা বলছেন, কোয়ারান্টাইন প্রক্রিয়া ও সোশ্যাল ডিসটেন্সিং মেনে চললে ৬২ শতাংশ সংক্রমণ রোখা যাবে। যারা কোভিড-১৯ আক্রান্ত তাঁদের থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
এই গবেষণা থেকে জানা যায়, একজন করোনা আক্রান্ত থেকে গড়ে ১.৫ থেকে ৪.৯ মানুষ আক্রান্ত হতে পারে। ১.৫ গড় হলে তা কিমি. বিপজ্জনক কিন্তু ৪.৯ গড় হলে তা বেশি বিপজ্জনক। যাদের উপসর্গ দেখা যাচ্ছে তাঁদেরও কোয়ারান্টাইনে রাখা যায় ও স্ক্রিনিং করা যায় তা হলেই ভারতে প্রকোপ কমবে করোনার।
এদিকে, সবচেয়ে বিপজ্জনক অবস্থায় পৌঁছে গেলে সাংঘাতিক পরিণতি হতে পারে এতে মাত্র ২ শতাংশ নিয়ন্ত্রনে আনা যাবে।
এই গবেষণা থেকে বিশেষজ্ঞরা এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন যে করোনা ভাইরাসের চিকিৎসার আগে দরকার মানুষের ঘরবন্দি থাকা। সাথে সাথে, শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
Social Plugin