রবিবারের জনতা কার্ফিউ কাটতেই লোকজন রাস্তায় নেমে ঘণ্টা কাঁসর বাজিয়ে সেই সংক্রমণের রাস্তাটা আরও প্রসারিত করেছে। সোমবার সারদিন ছুটির মেজাজে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে চলেছে আড্ডা, খেলাধুলো। চায়ের দোকানগুলিতে ভিড় উপচে পড়েছে।
কিন্তু রাতে প্রশাসন কড়া হতে সেই পরিস্থিতির মোকাবিলা করল কলকাতার অলিগলি থেকে আইন ভাঙার অভিযোগে ২৫৫ জনকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ।
সোমবার সকালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছিলেন, লকডাউনকে অনেকে তোয়াক্কাই করছেন না। সেইসঙ্গে রাজ্যগুলির উদ্দেশে বলেছিলেন, আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার কথা।
ঘরে থাকার আর্জি জানিয়ে এদিনও আবেদন জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
কলকাতার পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মা আবেদন জানিয়ে বলেছেন, “ঘরে থাকুন। প্রশাসনের সঙ্গে সহযোগিতা করুন।”
হুঁশিয়ারির সুরে নগরপাল জানিয়ে দিয়েছেন, কলকাতার আনাচেকানাচে পুলিশি অভিযান চলবে।
সোমবারের অভিজ্ঞতা দেশজুড়ে বিশেষ ভাল না। রাজ্যের যেসব জায়গায় লকডাউন ছিল না সেসব জায়গায় দেখা গিয়েছে বাজার-হাট, চায়ের দোকানে ভিড় জমিয়ে দিয়েছেন সাধারণ মানুষ। খেলার মাঠে চলছে চুটিয়ে খেলাধূলা। সন্ধের পর থেকেই পরিস্থিতি বদলাতে শুরু করে বাংলার বহু জেলায়। জটলা দেখলেই লাঠি নিয়ে তাড়া করে পুলিশ। বহু জায়গায় নামানো হয় কেন্দ্রীয় বাহিনীও।
ইতিমধ্যে কোচবিহার, জলপাইগুড়িতে কড়া পদক্ষেপ নিতে দেখা গিয়েছে পুলিশকে।
Social Plugin