pic source: hotstar

      বাংলা তথা ভারতবর্ষে ধনী গরিব নির্বিশেষে যে উৎসবে আনন্দে মেতে ওঠে সেটা নিঃসন্দেহে দোল উৎসব বা হোলি। হোলি মানেই বুড়ির ঘর, ন্যাড়াপোড়া, চাঁচরপোড়ার সাথে সাথে নানা রঙের আবির খেলা। "আজ আমাদের ন্যাড়াপোড়া, কাল আমাদের দোল, পূর্ণিমাতে চাঁদ উঠছে বল হরিবোল।"

     জেনে নিন হোলি সংক্রান্ত দুটি প্রচলিত পুরাণ গল্প ও বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা।

১) হোলিকা থেকে হোলি: হোলিকা ছিলেন হিরণ্যকশিপুর বোন যিনি বড় পেয়েছিলেন অগ্নি তাঁকে বধ করতে পারবেন না। কিন্তু হিরণ্যকশিপুর ছেলে প্রহ্লাদ তাঁর ওপরে ভগবান বিষ্ণুকে স্থান দেওয়ায় হিরণ্যকশিপু রেগে ছেলেকে হোলিকার কোলে বসিয়ে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করেন। কিন্তু বিষ্ণুর আশীর্বাদে প্রহ্লাদ বেঁচে গিয়ে হোলিকা পুড়ে মারা যান। এই হোলিকা দহন থেকেই এসেছে ন্যাড়াপোড়া।

২) মহাদেবের ক্রোধ: তারকাসুরের বধের উদ্দেশ্যে কামদেব বাণ ছুড়েছিলেন মহাদেবের ধ্যান ভাঙাতে। কিন্তু মহাদেবের ক্রোধে তৃতীয় নেত্র দ্বারা ভস্ম হয়ে যান কামদেব। পরে তাঁর স্ত্রীর অনুরোধে কামদেব পুনর্জন্ম পান যা হোলি উৎসব নামেই পালিত হয়।

৩) বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা: বৈজ্ঞানিকদের মতে শীত ও বসন্তের এই মাঝামাঝি সময়ে পরিবেশে মড়ক ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার জন্ম হয় যা ন্যাড়াপোড়ানো বা চাঁচরপোড়ানোর মাধ্যমে উৎপন্ন তাপে ধ্বংস হয়ে যায়।


source: internet