![]() |
pic source: bangla.hindusthantimes |
কয়েকদিন আগেই কেন্দ্রীয় বাজেট পেশ করলো দেশের অর্থমন্ত্রী নির্মালা সীতারমন। বেশ কিছু দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে আবার কিছু দ্রব্যের মূল্য সস্তা। এক নিমেষে নেমে গিয়েছিলে সেনসেক্স।
এদিকে, ২০২০-২০২১ অর্থবর্ষের রাজ্য বাজেট পেশ করলেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র। বাজেট বক্তৃতার সাথে সাথেই তোপ দাগলেন কেন্দ্রকে। এর পাল্টা তুলে ধরলেন রাজ্যের সাফল্যের খতিয়ান। এদিন অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র ২ লাখ ৫৫ হাজার ৬৭৭ কোটি টাকার বাজেট পেশ করার সাথে সাথে ১১টি নতুন প্রকল্পের কথাও ঘোষনা করেন।
একনজরে দেখে নেওয়া যাক রাজ্য বাজেট-
■ আর্থিক মন্দা সত্ত্বেও ৯ লাখ ১১ হাজার কর্মসংস্থান হয়েছে।
■ আগামী ৩ বছর ১০০ টি নতুন MSME পার্কের জন্য ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব।
■ সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় বাংলার পডুয়াদের উৎসাহ প্রদানের লক্ষ্যে কলকাতা, শিলিগুড়ি ও দুর্গাপুরে 'মহাত্মা গান্ধী, জয় হিন্দ ও আজাদ' নামে ৩টি সিভিল সার্ভিস অ্যাকাডেমি তৈরি করা হবে।
■২ হাজার ৭৪৪টি বাংলা সহায়তা কেন্দ্র থেকে কন্যাশ্রী ও বিভিন্ন সার্টিফিকেট পাওয়া যাবে ।
■ অনগ্রসর জাতির জন্য বরাদ্দ ৮০৫.১০ কোটি টাকা।
■ উপজাতি উন্নয়নে বরাদ্দ ৯৩৫ কোটি টাকা।
■ সংখ্যালঘুদের জন্য ৩ হাজার ৬০০ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব।
■ 'বন্ধু' প্রকল্পে তফশিলি জাতির অন্তর্ভুক্ত বয়স্কদের জন্য মাসে ১০০০ টাকা করে বার্ধ্যকভাতা।
■ 'হাসির আলো' প্রকল্প- গরিব মানুষদের জন্য বিদ্যুৎ প্রকল্প। বরাদ্দ ২০০ কোটি টাকা।
■ 'চা সুন্দরী' প্রকল্প- চা শ্রমিদের জন্য বরাদ্দ ৫০০ কোটি টাকা। চা বাগানের গৃহহীন শ্রমিকদের আবাসন দেওয়ার লক্ষ্যে এই প্রকল্প।
■ 'কর্মসাথী' প্রকল্প- আগামী এক বছর বেকার যুবক-যুবতীদের কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে সমবায় ব্যাঙ্কের মাধ্যমে ঋণদানের ব্যবস্থা। প্রতিবছর ১ লাখ কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করা হবে। ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ।
■ 'জয় জহর' প্রকল্পে তফশিলি উপজাতি বয়স্কদের ১০০০ টাকা করে বার্ধক্যভাতা দেওয়া হবে।
■ বিরসা মুন্ডা বিশ্ববিদ্যালয়, আম্বেদকর বিশ্ববিদ্যালয় সহ রাজ্যে আরও নতুন ৩টি বিশ্ববিদ্যালয় আগামী বছরে। বরাদ্দ ৫০ কোটি টাকা।
■ ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের জন্য 'বাংলাশ্রী' প্রকল্প, বরাদ্দ ১০০ কোটি ।
■ বিনামূল্য সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্প, বরাদ্দ ৫০০ কোটি.। এর সব খরচ রাজ্য সরকার নিজে দেবে। দেড় কোটি পরিবার উপকৃত হবে।
■ তফশিলি উপজাতিদের জন্য নয়া 'জয় জহর প্রকল্প', বরাদ্দ ৫০০কোটি টাকা।
■ তফশিলি জাতি জন্য নতুন 'বন্ধু' প্রকল্প, বরাদ্দ ২৫০০ কোটি টাকা।
■ ২ লক্ষ ৪৩ হাজার ৪১৯ কোটি টাকা ছোট ও মাঝারি শিল্পে বিনিয়োগ।
■ বড় শিল্পে ৪.৪৫ লাখ টাকার বিনিয়োগ প্রস্তাব ইতিমধ্যেই বাস্তবায়িত।
■ ২২,২৬৭ কোটি বিদেশি বিনিয়োগ রাজ্যে।
১০০ দিনের কাজ, ক্ষুদ্র শিল্প, গ্রামীণ গৃহ নির্মাণ, গ্রামীণ রাস্তা নির্মাণ, স্কিল ডেভেলপমেন্ট, ইজ অফ গোয়িং বিজনেস, ই-টেন্ডারিংয়ে বাংলা প্রথম।
বছর ঘুরলেই রাজ্য বিধানসভা ভোট । তাই এই বাজেটেই হল পাখির চোখ। গত ২০১৬ সালের বাজেটেও সেই দিশাই ছিল।
আরও পড়ুন- মাধ্যমিক পরীক্ষায় শিক্ষকদের স্মার্ট ওয়াচেও নিষেধাজ্ঞা পর্ষদের
আরও পড়ুন- মাধ্যমিক পরীক্ষায় শিক্ষকদের স্মার্ট ওয়াচেও নিষেধাজ্ঞা পর্ষদের
Social Plugin