ছাত্রীকে মাধ্যমিকে বসতে বাধা প্রধান শিক্ষকের, পরিনাম গড়ায় হাইকোর্ট পর্যন্ত!

বিদ্যালয়ে কম উপস্থিত থাকার কারনে এক ছাত্রীকে মাধ্যমিকে বসতে বাধা দিচ্ছেন প্রধান শিক্ষক।কোনও বিদ্যালয়ের ছাত্রীর মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসা নিয়ে এমন ঘটনা সম্ভবত রাজ্যে প্রথম। কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে মাধ্যমিক পরীক্ষায় ছাত্রীকে বসানোর। কিন্তু তা হয়নি। হাইকোর্টের নির্দেশ পেয়ে জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক তিনবার প্রধান শিক্ষককে পদক্ষেপ করতে বলেছে। তবু প্রধান শিক্ষক অবিচল, নির্বিকার। প্রধান শিক্ষকের যুক্তি, নবম শ্রেণীতে ছাত্রী অনেক কম ক্লাস করেছে। কম শতাংশের উপস্থিতি, তাই চলতি বছরের মাধ্যমিক পরীক্ষায় ছাত্রী তিয়াসা চট্টোপাধ্যায় এর নাম বিবেচনা করা যাবে না। হুগলির আরামবাগের বালিবেলা হাই স্কুলের ঘটনা। ছাত্রী ব্যতিক্রমী পরিস্থিতির শিকার বলে পর্যবেক্ষণ কলকাতা হাইকোর্টের । মাধ্যমিক পর্ষদকে আজ মঙ্গলবার ১১ই ফেব্রুয়ারি হাতে হাতে ছাত্রীকে অ্যাডমিট কার্ড দেওয়ার নির্দেশ।

নিয়মিত আপডেট পেতে নজর রাখুন আমাদের ফেসবুক পেজে -

প্রথমবারের মামলার নির্দেশ মেনে, ২৩, ৩০ ডিসেম্বর ২০১৯ এবং ৩ জানুয়ারি ২০২০ মোট তিনবার জেলা স্কুল পরিদর্শক প্রধান শিক্ষককে চিঠি দিয়ে জানিয়েছে মাধ্যমিকের পরীক্ষায় বসার ব্যবস্থা করতে ছাত্রীটির। প্রধানশিক্ষক ছাত্রীকে মাধ্যমিকের বসার কোন ব্যবস্থা তো করেইনি, পাশাপাশি জেলা স্কুল পরিদর্শকের চিঠির কোনও জবাব দেয়নি। কলকাতা হাইকোর্টের ফের মামলা করেন ছাত্রীর মা সীমা চ্যাটার্জী। বিচারপতি শেখর ববি শরাফ এমন ঘটনা জেনে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন আদালতে। ছাত্রীর ভবিষ্যৎ নিয়ে এমন গিনিপিগ খেলার তীব্র সমালোচনা করেন।

ছাত্রীর মায়ের আইনজীবী কে এম হোসেন জানান, প্রধান শিক্ষককে বরখাস্তের সুপারিশ করেছে আদালত। জেলা স্কুল পরিদর্শক বরখাস্তের সুপারিশ পাঠাবে মাধ্যমিক শিক্ষা পর্ষদের কাছে। সুপারিশ পেয়েই তৎক্ষণাৎ প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করবে পর্ষদ।

আরও পড়ুন- মাধ্যমিক পরীক্ষায় শিক্ষকদের স্মার্ট ওয়াচেও নিষেধাজ্ঞা পর্ষদের


প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত চলাকালীন বন্ধ থাকবে বেতন । আইনজীবীকে এম হোসেন আরও জানান, ১১ফেব্রুয়ারি মধ্যশিক্ষা পর্ষদ সচিবের কাছে এডমিট কার্ডের আবেদন করবে ছাত্রী। আবেদন পেয়ে তৎক্ষণাৎ সচিব এডমিট কার্ড ইস্যু করবে ছাত্রীটিকে। প্রধান শিক্ষকের এমন একরোখা মনোভাবের কারণ খুঁজে পাচ্ছেন না আইনজীবীরা। মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসা নিয়ে এমন ঘটনাকে তাই নজিরবিহীন বলছেন তারা।

সংবাদ একলব্য সংবাদটি সম্পাদনা করেনি, সরাসরি নিউজ সেন্ডিকেট থেকে সংগৃহীত।