দিনহাটা মহাবিদ্যালয়ে গত বেশ কয়েকমাস যাবৎ অতিরিক্ত পরিমাণে সেমিস্টার ফি নেওয়ায় প্রতিবাদে সরব হয় ছাত্র ছাত্রীরা। ফি কমানোর দাবি নিয়ে বিভিন্নভাবে আন্দোলনে সামিল হয় তারা। তারপরেও কোনো সুরাহা না হলে গত 27শে জানুয়ারী থেকে ছাত্র ছাত্রীরা ক্লাস বয়কট করে অবস্থানে বসে এবং প্রবল শৈত্যপ্রবাহকে উপেক্ষা করে সারারাত ধরে অবস্থান চালিয়ে যায়।
পরের দিন দুপুর 3 টায় দিনহাটা কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনায় বসার আশ্বাস দিয়েছিলেন বলে জানা গেছে।
কিন্তু এতেও এক সমস্যার সৃষ্টি হয়। আন্দোলনকারীদের মধ্যে শুধু দুজনকে পৌরভবনে আলোচনার জন্য ডাকা হয়, এর জেরেই ছাত্র ছাত্রীরা আলোচনা বয়কট করে। তাদের কথায়, কলেজের আলোচনা কলেজেই হোক। এর ফলে ক্লাস বয়কটের ডাক দেয় ছাত্র ছাত্রীরা।
গত ১১দিন ধরেই চলছে ক্লাস বয়কট, হেলদোল নেই উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের।
পরের দিন দুপুর 3 টায় দিনহাটা কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনায় বসার আশ্বাস দিয়েছিলেন বলে জানা গেছে।
কিন্তু এতেও এক সমস্যার সৃষ্টি হয়। আন্দোলনকারীদের মধ্যে শুধু দুজনকে পৌরভবনে আলোচনার জন্য ডাকা হয়, এর জেরেই ছাত্র ছাত্রীরা আলোচনা বয়কট করে। তাদের কথায়, কলেজের আলোচনা কলেজেই হোক। এর ফলে ক্লাস বয়কটের ডাক দেয় ছাত্র ছাত্রীরা।
গত ১১দিন ধরেই চলছে ক্লাস বয়কট, হেলদোল নেই উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের।
এরপর, পুনরায় আলোচনায় বসার জন্য অনুরোধ করা হলে অধ্যক্ষ কোনো পদক্ষেপ নেননি বলে ছাত্রছাত্রীরা জানিয়েছেন। ছাত্রছাত্রীদের দাবী-
1)বিজ্ঞানবিভাগ ও ভূগোল ডিপার্টমেন্ট এর ক্ষেত্রে দ্বিতীয় সেমিস্টার এর ফি 2620 টাকা থেকে 3120 টাকা করা হয়েছে, যা প্রত্যাহার করতে হবে।
2) সেমিস্টার ফি সামগ্রিক ভাবে পুর্নমূল্যায়ন করা হোক।
3) কলেজ কর্তৃপক্ষ যে নন-টিচিং স্টাফের কথা বলেন তাদের তাঁদের সরকারি নিয়োগ করা হোক।
4) ইলেকট্রিক বিল এক বছরে প্রায় 8 লক্ষ টাকা নেওয়া হচ্ছে l বছরে এত টাকা বিল তো আসার কথা নয়।
5) ল্যাবরেটোরির নাম করে বিভিন্ন খাতে টাকা নেওয়া হচ্ছে। এগুলো এক সাথে নিয়মমাফিকভাবে একবারেই নিতে হবে।
6) সেমিনার ফি বাতিল করতে হবেl
7) কলেজ অটোমেশন ফি নেওয়ার পরেও কেন আইটি ও এসএমএস ফি নেওয়া হচ্ছে? যে কোন একটা বাতিল করতে হবে।
8) এডমিশন ফি নেওয়ার পরেও অনলাইন রিএডমিশন প্রসেসিং ফি নেওয়া হচ্ছে। এডমিশান ফি একবারই নিতে হবে।
9) এক্সাম ফি সেমিস্টার ফি সাথে নেওয়া যাবে না।
10) দিনহাটা কলেজের যেহেতু কোনো অনুষ্ঠান হয় না তাই ফেস্টিভেল ফি নেওয়া বন্ধ করতে হবে। আবারও নিয়মিত অনুষ্ঠান শুরু হলে ফেস্টিভেল ফি বছরে একবার নেওয়া হোক।
11) সিকিউরিটি ফি নেওয়া হলেও স্টুডেন্ট ক্যাম্পাসের ভিতর সিসিটিভি নেই। যার জেরে কোনো দুর্ঘটনা হলে সে বিষয়ে সত্যতা বিচার করা যায় না। পশ্চিমবঙ্গে কোন সরকারি সাহায্য প্রাপ্ত কলেজে সিকিউরিটি ফি নেওয়া হয় না। সিকিউরিটি ফি প্রত্যাহার করতে হবে।
12) সব ডেভেলপমেন্ট ফি মিলিয়ে বাস্তবতা মেনে বছরে একবারেই ডেভেলপমেন্ট ফি নিতে হবে।
13)যুক্তিহীনভাবে আদার্স ফি এর নাম করে টাকা নেওয়া হচ্ছে। আদার্স ফি প্রত্যাহার করতে হবে।
14) অনলাইন প্রসেসিং সিস্টেম কলেজের দায়িত্ব,ছাত্রের নয়। অনলাইন প্রসেসিং কমিয়ে নিতে হবে।
সামগ্রিক ভাবে মহাবিদ্যালয়ের পরিচালন সমিতিতে ছাত্র প্রতিনিধি না থাকায় ছাত্র-ছাত্রীদের বক্তব্য বলা ও শোনার জায়গা থাকছে না। তাই অবিলম্বে ছাত্র ভোট করে ছাত্র - ছাত্রী প্রতিনিধি নির্বাচন করার দাবিও তুলছে ছাত্র ছাত্রীরা।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊