JNU-এর ক্ষোভের আঁচ এসে পড়ল যাদবপুরেও। মিছিল, পালটা মিছিলে রণক্ষেত্র সুলেখামোড়। এমনিতেই দিনভর মিছিলে-মিছিলে্ সরগরম ছিল তিলোত্তমা। সন্ধ্যেবেলা যাদবপুরের সুলেখামোড়ে বিজেপি, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া ও বামফ্রন্টের তিনটি মিছিল মুখোমুখি হয়। তারপরেই চূড়ান্ত উত্তেজনা ছড়ায়। প্রথম টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখানো হয়। পরে বিজেপির পতাকা পুড়িয়ে দেয় পড়ুয়ারা। শেষপর্যন্ত পুলিশকে লাঠি চালিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে হয়। যার জেরে যাদবপুরে ব্যাপক যানজট তৈরি হয়।




দিনভর একের পর এক মিছিল বের হয়। এসইউসিআই-এর ছাত্র সংগঠন ডিএসও কলেজ স্ট্রিট থেকেই মিছিল বার করে। পরে কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠন ছাত্র পরিষদের প্রতিবাদ মিছিল করে। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটের সামনেও বড়সড় বিক্ষোভের আয়োজন হয়েছিল। এসএফআই এবং ছাত্র পরিষদ একসঙ্গে শামিল হয় সে বিক্ষোভে। নরেন্দ্র মোদী এবং অমিত শাহের কুশপুতুল দাহ করা হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটের সামনে।




তবে ধুন্ধুমার বেঁধে যায় সুলেখা মোড়ে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়ুয়াদের মিছিল বের হয়। আরেকটি মিছিল করা হয়েছিল বামফ্রন্টের তরফে। একই সময় বিজেপির তরফে একটি মিছিলের আয়োজন করা হয়। সুলেখা মোড়ে তিনটি মিছিল মুখোমুখি হওয়ায় উত্তেজনা ছড়ায়। ব্যারিকেড দিয়ে মিছিল আটকানোর চেষ্টা করে। কিন্তু লাভ হয়নি। ব্যারিকেড ভেঙে বেড়িয়ে আসার চেষ্টা করতেই পুলিশ লাঠিচার্জ করে। এই ঘটনায় বিতর্ক ছড়িয়েছে। অভিযোগ, পড়ুয়ারা বিজেপির বিরুদ্ধে স্লোগান দেন। এমনকী তাদের পতাকা পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগও উঠেছে। পালটা বিজেপির মিছিল থেকেও প্ররোচনা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।