Latest News

6/recent/ticker-posts

Ad Code

Michael Madhusudan Dutt: একনজরে মধু কবির জীবনের বিচিত্র ঘটনার ঘনঘটা

একনজরে মধু কবির জীবনের বিচিত্র ঘটনার ঘনঘটা 


মাইকেল মধুসূদন দত্ত

আধুনিক বাংলা সাহিত্যের প্রথম মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত যশোর জেলার কেশবপুরের সাগরদাঁড়ির বিশিষ্ট জমিদার রাজনারায়ণ দত্ত ও মাতা জাহ্নবী দেবীর একমাত্র সন্তান । ঊনবিংশ শতকে জন্ম নেওয়া এই কবি বাংলা কাব্য ধারায় খুব অল্প সময়ের মধ্যে যুগান্তরকারী পরিবর্তন ঘটিয়েছেন যা তাকে চির অমরত্বের খ্যাতি দান করেছে ।

আজ ২৫ জানুয়ারি ২০২৪, মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের ২০১ তম জন্মদিন এবং জন্ম দ্বিশতবর্ষ পূর্তি দিবস। আসুন আজ তাঁর জন্মতিথীতে একনজরে দেখে নেই মধু কবির জীবনের নানা ঘটনা, তাঁর কৃতিত্ব। 



  • নবজাগরণের কবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত জন্ম গ্রহণ করেন – ২৫ জানুয়ারি, ১৮২৪ সালে (সাগরদাড়ি, যশোর) ।
  • কবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত খ্রিস্টর্ধম গ্রহণ করেন – ১৩ ফেব্রুয়ারি, ১৮৪৩ সালে ।
  • মাইকেল মধুসূদন দত্ত বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন – রেবেকা ম্যাকটিভিস নামে এক ইংরেজ যুবতীকে পরবর্তীতে ফরাসি তরুণী এমিলিয়া আরিয়েতা সোফিয়াকে ।
  • ব্যারিস্টারী পড়ার জন্য মাইকেল মধুসূদন বিলেত গমন করেন – ১৮৬২ সালে ।
  • মাইকেল মধুসূদন দত্তকে বাংলা সাহিত্যে বিবেচনা করা হয় – আধুনিকতার পথিকৃৎ ।
  • বাংলা সাহিত্যের অমিত্রাক্ষর ছন্দের প্রবর্তক – মাইকেল মধুসূদন দত্ত ।
  • আধুনিক বাংলা সাহিত্যের প্রথম বিদ্রোহী কবি – মাইকেল মধুসূদন দত্ত ।

  • বাংলা সাহিত্যের ‘দত্তকুলোদ্ভব’ কবি বলা হয় – মাইকেল মধুসূদন দত্ত ।
  • ‘টিমোথি পেনপেয়ম’ ছদ্ম নামে লিখতেন – মাইকেল মধুসূদন দত্ত ।
  • মাইকেল মধুসূদনের প্রধান অবদান – মহাকাব্য রচনা ।
  • মাইকেল মধুসূদনের অন্যান্য কৃতিত্বের মধ্যে রয়েছে – প্রথম স্বর্থক নাট্যকার, প্রথম প্রহসন রচয়িতা, প্রথম পত্রকাব্য রচয়িতা, প্রথম সনেটের প্রবর্তক ।
  • মাইকেলের রচিত বাংলা সাহিত্যের প্রথম স্বার্থক মৌলিক নাটক – শর্মিষ্ঠা ।
  • মাইকেল রচিত ইংরাজি কাব্য গ্রন্থ – The Captive Ladie ।
  • বাংলা সাহিত্যের প্রথম সার্থক কমেডি নাটক – মাইকেল মধুসূদন দত্ত রচিত ‘পদ্মাবতী’ ।

  • মাইকেলের ‘কৃষ্ণকুমারী’ নাটকটি – বাংলা সাহিত্যের প্রথম সার্থক ট্রাজেডি ।
  • ‘শর্মিষ্ঠা’ নাটকে মাইকেল মধুসূদন তুলে ধরেছেন – মহাভারতের আদি পর্বে বর্ণিত রাজা যযাতি, শর্মিষ্ঠা ও দেবযানীর ত্রিভূজ ‘প্রেম কাহিনী’ ।
  • মাইকেল মধুসূদন দত্ত তাঁর ‘শর্মিষ্ঠা’ নাটকটি উৎসর্গ করেছিলেন – মহাকবি কালিদাসকে ।
  • পদ্মাবতী নাটকে নারী সৌন্দের্যের যে স্বাভাবিক ঈর্ষা প্রকাশিত হয়েছে সেটা তিনি কোন গল্প অবলম্বনে রচনা করেছেন – গ্রিক পুরাণের প্রসিদ্ধ গল্প ‘ Apple of Discord’ অবলম্বনে ।
  • ‘মায়াকানন’ মধুসূদনের কোন শ্রেণীর রচনা – সর্বশেষ বিয়োগান্ত নাটক ।
  • মাইকেল মধুসূদন দত্তের কাব্য গ্রন্থগুলোর মধ্যে রয়েছে – তিলোত্তমাসম্ভব (১৮৬০), মেঘনাদবধ কাব্য (১৮৬১), ব্রজাঙ্গনা (১৮৬১), বীরাঙ্গনা (১৮৬২) প্রভৃতি ।
  • বাংলা সাহিত্যের প্রথম সনেট সংকলন – মাইকেল মধুসূদনের ‘চতুর্দশপদী কবিতাবলী’ (১৮৬৬খ্রি) ।

  • ‘তিলোত্তমাসম্ভব’ কাব্যের চরিত্র – সুন্দ, উপসুন্দ, তিলোত্তমা, ইন্দ্র, ইন্দানী প্রভৃতি ।
  • বাংলা সাহিত্যের প্রথম সার্থক মহাকাব্য – ‘মেঘনাদবধ কাব্য’ (নয়টি সর্গে রচিত) ।
  • ‘রামায়ণের’ রাম-রাবণের যুদ্ধে রাবণ পুত্র মেঘনাদের নিধন কাহিনী অবলম্বনে রচিত ‘মেঘনাদবধ কাব্যটি – ট্রাজিক বীররসের কাব্য ।
  • মাইকেল মধুসূদন দত্ত রচিত মেঘনাদবধ কাব্যে নায়ক হিসেবে অভিহিত করেছেন – রাবনকে ।
  • “আমি কি ডরাই সখি ভিখারী রাঘবে” এখানে ‘ভিখারী রাঘব’ বলতে বুঝায় – রামকে ।
  • ‘মেঘনাদ বধ’ কব্যের অন্যতম চরিত্রগুলোর মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য – রাবণ, রাম, লক্ষণ, সীতা, মেঘনাদ, প্রমীলা, বিভীষণ প্রভৃতি ।
  • বিভীষণের স্ত্রীর নাম – সরমা ।

  • মাইকেল মধুসূদন দত্ত ‘মেঘনাদ বধ’ কাব্যটি উৎসর্গ করেছেন – রাজা দিগম্বর মিত্রকে ।
  • গ্রিক কবি হোমারের ‘ইলিয়াড’ অবলম্বনে মাইকেল রচনা করেছেন – হেক্টরবধ (১৮৭১) ।
  • বৈষ্ণব পদাবলির অনুকরণে ‘রাধা-বিরহ’ বিষয়ক মাইকেলের ‘ব্রজাঙ্গনা’ কাব্যটি – মিত্রাক্ষর ছন্দে রচিত ।
  • মাইকেল মধুসূদন দত্ত রচিত ‘বিরাঙ্গনা’ কাব্যটি – বাংলা সাহিত্যের প্রথম পত্রকাব্য ।
  • ১১টি পত্রের সমন্বয়ে রচিত ‘বীরাঙ্গনা’ কাব্যটি রচিত – অমিত্রাক্ষর ছন্দে ।

  • ‘বীরাঙ্গনা’ কাব্যটি মাইকেল মধুসূদন দত্ত উৎসর্গ করেছেন – ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরকে ।
  • মাইকেল মধুসূদন দত্ত রটিত ‘চতুর্দশপদী কবিতাবলী’ গ্রন্থে রয়েছে- ১০২টি সনেট ।
  • সাধারণত সনেট বিভক্ত থাকে – দুটি ভাগে [ অষ্টক (Octave)) ও ষটক (Sestet)] ।
  • মাইকেল মধুসূদন দত্তকে বলা হয় – বাংলা সনেটের জনক ।
  • Blank Verse শব্দটির অর্থ – অমিত্রক্ষর
  • ‘অমিত্রক্ষর‘ ছন্দের বৈশিষ্ট্য – অন্ত্রমিল নেই ।

  • Sonnet এর প্রথম ভাগে থাকে – অষ্টক ।
  • ‘মেঘনাদবধ’ কাব্যে ‍যুদ্ধের সময় পশ্চিম দুয়ারে রক্ষক ছিলেন – বীর নীল ।
  • ‘একেই কি বলে সভ্যতা’ এবং ‘বুড়ো শালিকের ঘাড়ে রোঁ’ মাইকেল মধুসূদনের – প্রহসন ।
  • ‘আত্মবিলাপ’ মাইকেলের – গীতিকবিতা ।
  • বাংলা গীতিকবিতার প্রথম রচয়িতা – মাইকেল মধুসূদন দত্ত ।
  • নাটক ও প্রহসনের পার্থক্য – ব্যঙ্গ বিদ্রুপ ।
  • বাংলা সাহিত্যের প্রথম ঐতিবাসিক নাটক – ‘কৃষ্ণকুমারী’ ।

  • “সতত হে নদ, তুমি পড় মোর মনে। সতত তোমার কথা ভাবি এ বিরলে” উক্তিটিতে মাইকেল মধুসূদন দত্ত বলেছেন – কপোতাক্ষ নদের কথা ।
  • “কেলিনু শৈবালে ভুলি কমল-কানন” এখানে ‘কমল কানন’ হলো – বাংলা ভাষা ।
  • “ওরে বাছা মাতৃকোষে রতনের রাজির, এ ভিখারী দশা তবে কেন তোর আজি” পঙক্তিটি – বঙ্গভাষা কবিতার ।
  • যে মিল্টনের সাথে তুলনা করা হয় – মধুসূদন দত্তকে ।
  • ‘Visions of the post’ কাব্যটি প্রকাশিত হয় – ১৮৪৯ সালে ।
  • মধুসূদন দত্ত তাঁর ‘তিলোত্তমাসম্ভব’ কাব্যটি নামে উৎসর্গ করেন – যতীন্দ্র মোহন ঠাকুরকে ।

  • মাইকেল মধুসূদন দত্ত যে সকল সাহিত্যিকের সনেট অবলম্বনে বাংলা সনেট লিখেন – পেত্রাক, মিল্টন ওশেকসপিয়র ।
  • ‘দাঁড়াও পথিকবর’ জন্ম যদি তব বঙ্গে ! তিষ্ঠ ক্ষণকাল ! এ সমাধি স্থল ‘ কবিতাটির লাইনগুলো যে সাহিত্যিকের সামাধিস্থলে লেখা রয়েছে – মাইকেল মধুসূদন দত্ত ।
  • মাইকেল মধুসূদন দত্তের ‘বঙ্গভাষা’ সনেটটি প্রথম লেখা হয় – কবি-মাতৃভাষা নামে ।
  • ‘বঙ্গভাষা’ সনেটের ষটকের মিল বিন্যাস – গঘঘগঙঙ ।
  • “হে বঙ্গ ভান্ডারে তব বিবিধ রতন, তা সবে (অবোধ আমি) অবহেলা কবি, পর-ধন লোভে মত্ত, করিনু ভ্রমণ পরদেশে, ভিক্ষাবৃত্তি কুক্ষণে আচরি” পঙক্তিটির রচয়িতা – মাইকেল মধুসূদন দত্ত ।

  • বঙ্গভাষা কবিতায় ‘কুললক্ষ্মী’ বলতে বোঝানো হয়েছে – ভাষাদেবীকে ।
  • বাংলা সাহিত্যে অমিত্রাক্ষর ছন্দের প্রথম প্রয়োগ ঘটে – মধুসূদন দত্তের ‘পদ্মাবতী’ নাটকে ।
  • “মাতৃভাষা-রূপ খানি পূর্ণ মণিজালে” ‘মণিজাল’ অর্থ – জালের মতো ছড়িয়ে থাকা মণি ।
  • ‘বঙ্গভাষা’ কবিতায় মাইকেল মধুসূদন দত্ত তুলে ধরেছেন – মাতৃভাষার প্রতি উপেক্ষার অনুতাপ ।
  • মাইকেল মধুসূদন দত্ত পরলোক গমণ করেন – ১৮৭৩ সালের ২৯ জুন কলিকাতার আলিপুর হাসপাতালে ।
source: wikipedia and other sources from internet 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

1 মন্তব্যসমূহ

Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊

Ad Code