দুটি বাসের রেষারেষিতে এক যুবকের মৃত্যু হয় খিদিরপুরে । তার পরেই অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে বন্দর এলাকায় রিমাউন্ট রোড। শুক্রবার দুপুর সাড়ে বারোটা নাগাদ বাসের ধাক্কায় গুরুতর জখম হন এক ব্যক্তি। এরপরই স্থানীয় জনতা রাগে ফেটে পড়ে। ওই বাসটিতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। পিছনের আরও একটি বাসে আগুন ধরিয়ে দেয় উত্তেজিত জনতা। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে যায় বিরাট পুলিশবাহিনী। পুলিশের সঙ্গেও স্থানীয় মানুষদের কার্যত খণ্ডযুদ্ধ বেঁধে যায়।


আনন্দবাজার পত্রিকা-র খবর অনুযায়ী, এলাকার কয়েকশো মানুষ জমায়েত হন। পুলিশের দাবি, উত্তেজিত জনতা মৃতদেহ আটকে রেখে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। তার মধ্যেই ওই জনতার একাংশ পর পর তিনটি বাসে অগ্নিসংযোগ করে। ভাঙচুর চালায় রাস্তায় থাকা অন্য বাসে। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মৃতদেহ তোলার চেষ্টা করলে বাধা দেয় জনতা। শুরু হয় পুলিশকে লক্ষ্য করে ইঁট বৃ্ষ্টি। প্রথমে পুলিশকে খানিকটা পিছু হটতে হয়। দেহ উদ্ধার করে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এখনও মৃতের পরিচয় জানাতে পারেনি পুলিশ। তবে স্থানীয় সূত্রে খবর মৃত যুবক ওই এলাকারই বাসিন্দা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আসার পর বাসে আগুন লাগানো এবং ভাঙচুরের ঘটনায় দোষীদের চিহ্নিত করা শুরু করেছে পুলিশ।

সংবাদ একলব্য সংবাদটি সম্পাদনা করেনি সরাসরি নিউজ সেন্ডিকেট থেকে সংগৃহিত।