দক্ষিণ ২৪ পরগনা/ রবীন মজুমদারঃ 
এক অজ্ঞাত পরিচয় যুবতীর প্রেমের ফাঁদে ৫ যুবক, এরকমই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠল দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার কাকদ্বীপের রামকৃষ্ণ গ্রাম পঞ্চায়েতের পূর্ব গঙ্গাধারপুর এলাকায়।। গ্রামবাসীর অভিযোগ ওই যুবতী দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে বেশ কয়েকটি যুবককে নিজের প্রেমের ফাঁদে ফাঁসিয়ে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে মামলা-মোকদ্দমার ভয় দেখিয়ে বেশ কয়েক লক্ষ টাকার প্রতারণার জাল বিস্তার করে। 

আজ ঠিক সকাল ৯টার সময় গ্রামবাসী ও তার পঞ্চম স্বামী মিলে ওই যুবতীকে হাতেনাতে ধরে ফেলে। স্থানীয় গ্রামবাসী সূত্রে জানা যায় যে বেশ কয়েকদিন ধরে ওই যুবতী এই গ্রামে নাম প্রকাশ্যে আনতে অনিচ্ছুক ওই যুবককে প্রেমের জালে ফাঁসিয়ে বিয়ে করে বিয়ের ৭ দিন পরে ওই যুবককে হুমকি দিতে থাকে যে তাকে ৫০ হাজার টাকা না দিলে সে ওই যুবকের নামে আদালতে মামলা করবেন এবং শুধু মামলা নয় ধর্ষণের কেস করবেন। 

ওই যুবক ভয়ে কিছু না বলতে পেরে তার নিকট আত্মীয়দের কাছে গিয়ে বিষয়টি খুলে বলেন। পরে গ্রামবাসী তদন্ত করে শেষমেষ জানতে পারে ওই যুবতী বিগত কয়েক বছরে আরও চারটি বিয়ে করে এবং প্রত্যেকটি বিয়ে তার ইচ্ছা মতোই হয়। 

চার চারটি স্বামীর কাছ থেকে ভয় দেখিয়ে মামলা-মোকদ্দমা করার ভয় দেখিয়ে ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা করে আত্মসাৎ করে। 

আজ ঘটনা জানাজানি হতে পুরো কাকদ্বীপ রয়ে যায় এবং পঞ্চম স্বামী এবং তার গ্রামবাসী মিলে গত চারটে স্বামীকে এক জায়গায় নিয়ে আসে। তারা প্রত্যেকে ওই অজ্ঞাতপরিচয় যুবতীর নামে একই অভিযোগ করে যে বিগত দিনে তাদের সাথে ও একই ভাবে বিয়ে করে এক সপ্তাহ পর ধর্ষণ এবং বধূ নির্যাতনের মামলার ভয় দেখিয়ে ৫০ থেকে ৪০হাজার টাকা পর্যন্ত হাতিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়। এই ঘটনায় এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। পরে কাকদ্বীপের রামকৃষ্ণ অঞ্চলের পূর্ব গঙ্গাধরপুর গ্রামের গ্রামবাসীরা ওই অজ্ঞাতপরিচয় যুবতীকে মারধর করে স্থানীয় হারুউড পয়েন্ট কোস্টাল থানায় নিয়ে যায়। পুলিশ ঘটনার তদন্তের জন্য একটি জিডি রুজু করে। 

গ্রামবাসীদের দাবি ভবিষ্যতে যাতে ওই অজ্ঞাতপরিচয় যুবতী আর অন্য কোন যুবকের সাথে প্রতারণা করতে না পারে তার সুব্যবস্থা করলে সংবাদমাধ্যম এবং আইনের কাছে তারা চির বাধিত থাকবে। এখন দেখার স্থানীয় থানা এই বিষয়ে কতটা কার্যকরী ভূমিকা গ্রহণ করে।
বিস্তারিত শুনুন ভিডিওতে-