pic. source-fb


রাজ্যের কলেজের আংশিক সময়ের শিক্ষক (পিটিটি), চুক্তিভিত্তিক শিক্ষক (সিডব্লিউটিটি) এবং অতিথি শিক্ষকদের (জিটি) একত্রে ‘স্টেট এডেড কলেজ টিচার’ (স্যাক্ট) স্বীকৃতি দেওয়ার কথা আগেই ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী। তিনি জানিয়েছিলেন- PTT, CWTT, GUEST TEQCHER বলে আর কোনো আলাদা আলাদা ক্যাটাগরি থাকবে না। এখন থেকে বলা হবে govt. approved college teacher.

এবার সেই পদক্ষেপ সোমবার বাস্তবায়িত করল উচ্চশিক্ষা দপ্তর। যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতার নিরিখে ওই সমস্ত শিক্ষকদের ভাতা-বৃদ্ধিও কার্যকরী হল। এর ফলে কলেজের ১০ হাজারেরও বেশি শিক্ষক-শিক্ষিকা ২০২০-র ১ জানুয়ারি থেকে উপকৃত হবেন।
বুধবারের সরকারি বিজ্ঞপ্তি (নং ২০৮১-ইডিএন(সিএস)/ ১০এম-৮৩/২০১৯) অনুযায়ী, স্যাক্ট-১ ও ১০ বছরের বেশি অভিজ্ঞরা পাবেন ৩৫ হাজার টাকা। স্যাক্ট-১ ও ১০ বছরের কম অভিজ্ঞরা পাবেন ৩১ হাজার টাকা। স্যাক্ট-২ ও ১০ বছরের বেশি অভিজ্ঞরা পাবেন ২৫ হাজার টাকা। স্যাক্ট-২ ও ১০ বছরের কম অভিজ্ঞরা পাবেন ২০ হাজার টাকা। এ ছাড়া সরকারি আদেশে রাজ্যের ৫,৫০০ জন আংশিক সময়, ৫৫০ জন চুক্তিভিত্তিক ও ৮৫০০ জন অতিথি শিক্ষক কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে ৬০ বছর বয়স পর্যন্ত কাজের অধিকারও পেলেন। প্রতি বছর ৩% বেতন-বৃদ্ধি ও অবসরকালীন ৫ লক্ষ টাকা এককালীন ভাতারও সুবিধা পাবেন তাঁরা। পাবেন বদলির সুবিধাও। প্রত্যেক শিক্ষককে সপ্তাহে ১৫ ঘন্টা ক্লাস নিতে হবে। কর্মরত যে সকল পিটিটি-সিডব্লিউটিটি বর্তমানে বেশি হারে ভাতা পান, তাঁদের পে-প্রোটেকশনও দেওয়া হবে।
wbglaএর ফেসবুকে পোস্ট করা 

বিজ্ঞপ্তি জারি হওয়ার পরই স্যোসাল সাইট জুড়ে চলছে 'দিদির বন্দনা' । এক অতিথি অধ্যাপক লিখেছেন- "গ্রহন করেছ যত, ঋণী তত করেছ আমাদের.... পাশে থাকার অঙ্গীকার করলাম - State aided college teacher."  কেউবা লিখেছেন- 'বঙ্গজননী তুমি' । সব মিলিয়ে আনন্দের হাওয়া অতিথি অধ্যাপকদের মধ্যে।