১০ জানুয়ারি থেকে বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সম্পূর্ণ রূপে প্রাইভেট টিউশন বন্ধের কড়া নির্দেশ জারি 


teachers



জারি হল নতুন নির্দেশিকা। এই নির্দেশিকায় ৬ টি বিষয়কে মানতে কড়া নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জেলার প্রতিটি স্কুলেই। এই নির্দেশিকা কোচবিহার জেলার প্রতিটি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে পাঠিয়েছেন ডি আই।

নির্দেশিকায় বলা রয়েছে-
১। বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের প্রাইভেট টিউশন সম্পূর্ণ রূপে বন্ধ। ১০ জানুয়ারি ২০২০ থেকে এই নির্দেশ কার্যকর হবে।
২। পিছিয়ে পড়া ছাত্রদের নিয়ে রিমেডিয়াল ক্লাস করাতে হবে।
৩। বিদ্যালয়ে  নির্ধারিত সময়ে উপস্থিত এবং নির্ধারিত সময়ে বিদ্যালয় ত্যাগের বিষয়ের উপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
৪। প্রতিটি বিদ্যালয়ে পানীয় জল এবং শৌচালয়ের সুবন্দ্যোবস্ত করতে হবে।

মধ্যশিক্ষা পর্ষদের একটি নোটিফিকেশনে(memo no: D.S.(Aca)/844/A/25/3) ইতিমধ্যে একাডেমিক ক্যালেন্ডার, রুটিন, ছুটির লিস্ট, টিচার্স ডায়রি সহ একাধিক নির্দেশিকা দেওয়া হয়। অনেকে মনে করছেন একাধিক শিক্ষক আন্দোলনে জেরবার সরকার শিক্ষকদের উপর এবার বেশী সক্রিয়তা দেখানোর চেষ্টা করছে। 


এইদিনের নির্দেশিকায় যেসকল বিষয়ে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য, বিদ্যালয়ের উপস্থিতির সময় এবং প্রাইভেট টিউশন।

সাধারণত লক্ষ্যকরা যায়, সকাল ১১ টার মধ্যে বিদ্যালয়ে উপস্থিত হলেও প্রার্থনা/ এসেম্বলিতে উপস্থিত থাকেন না অনেকেই। কিন্তু নতুন শিক্ষাবর্ষ থেকে সকাল ১০টা ৪০মি-৫০ মিনিটের মধ্যে উপস্থিত থাকতে হবে।


পূর্বের একটি নোটিফিকেশনে বলা হয়েছে- "সকল শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীর বিদ্যালয়ে সঠিক সময়ে আসা ও বিদ্যালয় শেষ হওয়ার পরেই কেবল বিদ্যালয় ত্যাগ করা । প্রার্থনার সময় (সকাল ১০টা ৪০মি-৫০ মিনিটের মধ্যে) বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক-শিক্ষাকর্মিকে উপস্থিত থাকত হবে। ১০.৫০ মিনিটের পরে আসলেই মার্ক করতে হবে। কলকাতা গেজেটের নোটিফিকেশন 214/SE অনুসারে বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীর বিদ্যালয়ের প্রাত্যহিক দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করা ছাড়াও বিভিন্ন পালনীয় দিনগুলি ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে ও নিজ দায়িত্ব পালন করে বিদ্যালয়ের মধ্যে আনন্দদায়ক শিখনের (Joyful learning) পরিবেশ বজায় রাখতে হবে।" 

এছাড়া পালনীয় দিনগুলিতে শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের উপস্থিতির হিসেব রাখার জন্য বিদ্যালয় প্রধানকে আলাদা রেকর্ড রাখতে বলা হয়েছে।

আরও পড়ুনঃ  একদিকে প্রাইভেট টিউশন বন্ধের কড়া নির্দেশিকা, অন্যদিকে NTA চালুর দাবী