pic source: internet


কেন্দ্র রাজ্যকে প্রাপ্য অর্থ দিচ্ছে না। বৃহস্পতিবার এই অভিযোগ জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়  জানিয়েছেন, ওই অর্থ পেলে ঘুর্ণিঝড় বুলবুলের  ত্রাণকার্যে তা কাজে আসত। মুখ্যমন্ত্রী আশাপ্রকাশ করেছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি  সাহায্য করবেন। তার ফলে বুলবুলে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগু‌লিকে সাহায্য করা সম্ভব হবে তৃণমূল সরকারের পক্ষে। বৃহস্পতিবার নবান্নে সাংবাদিকদের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ‘‘প্রায় ১৭,০০০ কোটি টাকা কেন্দ্রের থেকে প্রাপ্য আমাদের। যদি ওরা আমাদের এই প্রাপ্য মিটিয়ে দিত, তাহলে সেই টাকায় আমরা ত্রাণকাজ চালাতে পারতাম।'' তিনি জানিয়েছেন, ওই প্রাপ্য মিটিয়ে দেওয়ার জন্য তিনি কেন্দ্রকে চিঠি লিখবেন।

মুখ্যমন্ত্রী সকলের কাছে আবেদন করেন, ত্রাণকার্য নিয়ে রাজনীতি করা থেকে বিরত থাকার জন্য।তিনি বলেন, ‘‘এটা একটা ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড়। কিছু মানুষ এই পরিস্থিতিতে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর পরিবর্তে এই নিয়ে রাজনীতি করছে। আমি তাদের এর থেকে বিরত থাকতে বলব। এটা রাজনীতি করার সময় নয়।'' ‘‘নোংরা খেলা'' বন্ধ করার আবেদন করেন মুখ্যমন্ত্রী।

তিনি আরও বলেন, কেন্দ্র ও রাজ্য প্রত্যেকের নিজস্ব ভূমিকা রয়েছে। তাদের এই পরিস্থিতিতে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, যে কৃষকরা কৃষিবিমা করিয়েছিলেন তাঁরা একশো শতাংশ কভারেজ পাবেন। পাশাপাশি তিনি কৃষকদের সব রকম সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন। দ্রুত ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের জন্য বিশেষ প্যাকেজের ঘোষণা করার কথাও জানান মুখ্যমন্ত্রী।

বৈঠকে তিনি জানান, ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের প্রকোপে মোট ন'জন প্রাণ হারিয়েছেন। নিখোঁজ সাত মৎস্যজীবী। সব মিলিয়ে ছ'লক্ষ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। ধ্বংস হয়েছে পাঁচ লক্ষ বাড়ি। এই সব ধ্বংসপ্রাপ্ত বাড়ির পুনর্নির্মাণের আশ্বাস দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী জানান, ‘বাংলার বাড়ি' প্রকল্পে অধীনে এই সব বাড়ি আবার তৈরি করে দেওয়া হবে।

এরই সঙ্গে রাজ্যের সব ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারতে একটি করে লণ্ঠন ও পাঁচ লিটার করে কেরোসিন তেল দেওয়ার কথাও ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

শিক্ষা দফতরকে বোর্ডের পরীক্ষায় বসতে চলা পড়ুয়াদের জন্য বইয়ের ব্যবস্থার নির্দেশ দেন।

সংবাদ একলব্য সংবাদটি সম্পাদনা করেনি-সরাসরি নিউজ সিন্ডিকেট থেকে সংগৃহীত। 



নিয়মিত আপডেট পেতে নজর রাখুন আমাদের ফেসবুক পেজে -



like our facebook page for more update