আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে যুক্ত হতে এখানে ক্লিক করুন

গৌতম সাহা,পুরুলিয়াঃ

"ওঠো,জাগো,লক্ষে না পৌছানো পর্যন্ত থেমো না".....স্বামী বিবেকানন্দের এই মহান বাণী কে পাথেও করে শেষ হল গত ১৯ শে অক্টোবর ও আজ ২০ শে অক্টোবর,২০১৯ এই দুই দিন ধরে চলা পুরুলিয়া জেলায় অনুষ্ঠিত UUPTWA এর প্রথম রাজ্য সম্মেলন।পুরুলিয়া শহরের অদুরে হওয়া সম্মেলনটি সুদক্ষ হাতে পরিচালনা করলেন এই জেলার বীর উস্থিয়ানরা।এই সম্মেলনের সূচনা হয় শোকপ্রস্তাব পাঠ ও শহীদ স্মৃতির প্রতি এক মিনিট নীরবতা পালনের মাধ্যমে। উদ্বোধনী ভাষণ ও ধন্যবাদজ্ঞাপন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন সভাপতি সন্দীপ ঘোষ। সম্পাদকীয় প্রতিবেদনের খসড়া পাঠ করেন সম্পাদিকা পৃথা বিশ্বাস ও সংগঠনের বার্ষিক হিসাব পেশ করেন নাফিসা মেহমুদ। এরপরে একে একে কমবেশী ২৩ টি জেলার নেতৃত্ব তাদের প্রতিটি জেলার রিপোর্টিং পেশ করেন। সারা রাজ্য থেকে প্রায় ২৭২ জন প্রতিনিধি সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন। প্রথমদিনের সভার শেষ হয় কোর কমিটির সদস্য চন্দন চাটার্জির বক্তব্যের মধ্য দিয়ে।


‌আজ সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে প্রধান আলোচ্য বিষয় হয়ে ওঠে সংগঠনের গত ২ বছরের কর্মপদ্ধতি ও আন্দোলনের ধারা তথা প্রাপ্তি,অপ্রাপ্তি  নিয়ে। উঠে আসে বিভিন্ন জেলা থেকে আগামী দিনের বেশ কিছু গ্রহণযোগ্য বিষয় নিয়ে লড়াই,আন্দোলনের প্রস্তাব। তবে বিষয়গুলিকে একক ভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সম্পাদিকা পৃথা বিশ্বাস জোর দেন প্রথম দিন থেকে বলে আসা 'one team,one dream'এই নীতি নিয়ে সংগঠনকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য। তিনি বলেন সংগঠনকে নিয়ে বিভিন্ন সমালোচনা সত্ত্বেও যে কোন মূল্যে অরাজনৈতিক সত্ত্বা বজায় রাখতেই হবে আর সেখানেই হবে UUPTWA এর প্রধান সার্থকতা।তিনি দ্বার্থহীন ভাবে জানান প্রত্যক্ষ ভাবে কোন রাজনৈতিক সংশ্রব ঘটলেই সংগঠনের পরিসমাপ্তি ঘটবে। আগামিদিনে যাতে সংগঠনের প্রাথমিক শিক্ষক বা শিক্ষিকারা কোয়ালিটি এডুকেশান বা গুড এডুকেশানের উপর জোর দেন সে বিষয়েও তিনি আলোকপাত করেন।
সংগঠনের আন্দোলনকে whatsapp বা Facebook এ সীমাবদ্ধ না রেখে প্রতিটি জেলা থেকে মহকুমা তথা চক্রস্তরে নিয়ে যাওয়া যায় তার পরিকল্পনা গৃহীত হয়।আর সভায় সর্বসম্মতভাবে প্রস্তাব গৃহীত হয় যাতে সংগঠন ফিটমেন্ট ফ্যাক্টর পাওয়া ও পে কমিশনের নায্য এফেক্ট পাওয়ার ব্যাপারে সর্বশক্তি দিয়ে পুনঃরায় ঝাঁপিয়ে পড়ে যাতে মাননীয় শিক্ষামন্ত্রীর মাদ্রাসার সাথে প্রাথমিক শিক্ষক দের বেতন সমতা আনার প্রতিশ্রুতী রক্ষিত হয়।তাছাড়া আগামীদিনে PRT scale পাওয়ার ব্যাপারে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত বহাল থাকে। সভার শেষে সর্বসম্মতিক্রমে বিদায়ী কমিটির উপর সম্পূর্ণ আস্থা রেখে পুরাতন কমিটির সমস্ত সদস্য- সদস্যাদের পুনর্বহাল করা হয়। উপস্থিত সমস্ত প্রতিনিধি একবাক্যে নতুন কমিটির উপর আস্থা রাখেন ও আগামীদিনের আন্দোলনে সবাই মিলে ঝাঁপিয়ে পড়ার আগাম প্রতিশ্রুতী দিয়ে রাখেন।
‌তবে এখন দেখার আগামীদিনে সরকার সমস্ত শিক্ষকদের জন্য পেকমিশনের নোটিশ জারি করলেও প্রাথমিক শিক্ষকদের জন্য কিভাবে বা কবে পে-কমিশনের নোটিশ দেন এবং ফিটমেন্ট ফ্যাক্টর পাওয়ার ব্যাপারে কোন সদর্থক ভূমিকা নেন কিনা? আগামিদিনে UUPTWA'র আন্দোলনের গতিপ্রকৃতি তার উপর বেশ কিছুটা নির্ভরশীল। তবে অন্যান্য আর পাঁচটা সংগঠনের মতো তাদের সংগঠনের কাজকর্মে বিস্তর ফারাক থাকবে এটা বলাই বাহুল্য।