কয়েক বছর আগে হঠাত করেই দেশে সমস্ত ৫০০ এবং ১০০০ টাকার নোট বাতিল করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। যা নিয়ে দেশবাসীকে তীব্র অশান্তির মধ্যে পড়তে হয়। এবার সে পথেই কি হাটতে চলেছে বাংলাদেশ? গোটা দেশজুড়ে তীব্র আতঙ্ক তৈরি হয়েছে নোট বাতিল ইস্যু নিয়ে। বাংলাদেশ জুড়ে খবর ছড়িয়ে পড়েছে বাজারে চালু থাকা ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট বাতিল হচ্ছে বলে। আর এরপরেই হুড়োহুড়ি বেঁধে যায় সাধারণ মানুষের মধ্যে।
যদিও পুরো বিষয়টি সম্পূর্ণ গুজব বলে উড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ক্যাসিনো বন্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে বিপুল টাকা উদ্ধারের পর অবৈধ অর্থ ধরতে ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট সরকার বাতিল করতে যাচ্ছে বলে সোশাল মিডিয়ায় লেখালেখি হতে শুরু হয়। আর এরপরেই গোটা বাংলাদেশজুড়ে এই গুজব ছড়িয়ে পড়ে। গুজবে অনেকে আবার দেশের বিভিন্ন ব্যাংকের এটিএমের সামনে দাঁড়িয়েও পড়েন। গভীর রাত পর্যন্ত চলে এই অবস্থা।
স্থানীয় প্রকাশিত খবর মোতাবেক, সোশ্যাল মিডিয়াতে অনেকেই লেখেন, ভারত সরকার কিছু দিন আগে অবৈধ অর্থ ধরতে সে দেশে প্রচলিত নোট যেভাবে বাতিল করেছিল, বাংলাদেশেও সেই পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, 'কিছু সংবাদ মাধ্যমে ৫০০ ও ১০০০ টাকা মূল্যমানের নোট বাতিলের বিষয়ে কিছু বিভ্রান্তিকর ও মিথ্যা খবর ছাপানো হয়েছে। এ ধরণের বিভ্রান্তিকর সংবাদ প্রচারের মাধ্যমে জনমনে ভীতি ও বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে; যার ফলে দেশের মুদ্রা ব্যবস্থাপনার স্থিতিশীলতা বিনষ্ট হতে পারে।' এমনকি নোট বাতিলের বিভ্রান্তিকর খবর না ছড়াতে সে দেশের সংবাদমাধ্যমসহ সবার প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।