চ্যাংরাবান্ধা। আনারুল ইসলাম প্রামাণিক 
কোচবিহার জেলার মেখলিগঞ্জ ব্লকের ভোটবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় জালিয়াটারি বাজারের উপর  নোংরা আবর্জনার স্তুপ যা মানুষের চোখে এক অস্বস্তির বাতাবরণ তৈরি করেছে।
মা দুর্গার শুভ বিজয়ার পর দিনে শুরু হয়ে যায় রাখাল পুজা কেউ বলে বন দুর্গা কেউ বলেন মা ভান্ডানি। আর এই মা ভান্ডানী পুজা ভোটবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় প্রথম শুরু হয় ১৯৭৭ সালে তৎকালিন গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য নরেন রায় গড়েয়া ছিলেন। তার গ্রাম পঞ্চায়েত কার্যালয়ে জমি দান করেন রত্নেশ্বরী দাইস্য, তিনি দীর্ঘ দিন এই পুজার গড়েয়া ছিলেন এবং তিনি ঘোষণা দেন এই গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান যে হবেন সেই হবে পুজা কমিটির সভাপতি, সেই নিয়মানুসারে চলে আসছে মা ভান্ডানি পুজা। এবার ৪২ তম পূজার জাক্জ‌মক ভাবে উদযাপিত হলও।
একাধিক মানুষের অভিযোগ ভোটবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত নির্মল গ্রাম হিসাবে চিহ্নিত করে কোচবিহার জেলায় প্রথম স্থান লাভ করে ট্রফি নিয়ে আসেন বিগত প্রধান দধিরাম রায়, তিনি উদ্যোগ নিয়ে অফিসের ভুমি দাতা রত্নেশ্বরী দাইস্যার নাম করনে একটি মঞ্চ তৈরি করেন, কিন্তু সেই মঞ্চের কোন নাম উচ্চারণ ও সংস্কারের বালাই নেই। ভূমিদাতার উত্তরসুরিরা জানান অফিসের সামনে নোংরা আবর্জনার স্তুপ, লোক নাকে রুমাল দিয়ে পথ চলছে। 
এ দিকে প্রধানের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ উঠেছে  রত্নেশ্বরী দাইস্যার মঞ্চের করুন অবস্থা নিয়ে, তার নামাঙ্কিত সাইন বোর্ডটি কাদা দিয়ে ভরা। সাধারণ মানুষের বক্তব্য চারিদিকে প্রচার নির্মল বাংলা স্বচ্ছ ভারত অভিযান  বহু ফ্লাগ ফেস্টুন নানা ভাবে সাজানো আছে। পূজার উদ্যোক্তা সহদেব বিশ্বাস জানান "আমার দিদিমা রত্নেশ্বরী দাইস্যা ভুমি দান করলেও তার কোন স্মৃতির প্রধান তালিকাতে নাম নেই, নেই মঞ্চের কোন উচ্চারণ শুধু মঞ্চ মঞ্চই আছে খোলা আকাশের নীচে। আজ পর্যন্ত কোন পদক্ষেপ গ্রহণ কেউ করেননি। বর্তমান প্রধান মৃতুঞ্জয় সিংহ সরকার এ বিষয় এবং উন্নয়ন মুলক কাজ থেকে অনেকটাই দূরে বলে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা সংবাদ প্রতিনিধিকে জানান। বাজারে নেই কোন সুলভ শৌচাগার, নেই কোন ভাল বিশুদ্ধ পানিয় জলের ব্যবস্থা। 
এ বিষয় ভোটবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান মৃতুঞ্জয় সিংহ জানান বাজারে জায়গা পেলে শৌচাগার বানাবো, অন্য প্রশ্ন করলে তিনি এরিয়ে যান।