শুভাশিস দাশ : 

পুজো আসি আসি করে এসেও গেলো এবং চলেও যাচ্ছে । নবমীর রাতটাই বিষাদের সুরে দশমীকে আবাহন করে । 
বিজয়া দশমী একটা মিলনের দিন । পুরনো বিভেদ , দ্বেষ ভুলে একে অপর কে আলিঙ্গনে আবদ্ধ করে । কিনতু মা কে বিসর্জন দিতে কেমন লাগে বলুন তো । বস্তুত নবমীর রাত থেকেই কিন্তু একটা ব্যাথা কোথায় যেন উঁকি দেয় ! 
তবু নিয়ম কে আমরা উপেক্ষা করতে পারিনা । 
আজ এমন একটা সময়ে আমরা উপনীত হয়েছি যেখানে প্রতিদিনের খবরের শিরনাম ' হানাহানি , রক্তপাত ' ! এটা মোটেই কাম্য নয় । 
মানুষের খাদ্য বস্ত্র বাসস্থান নিয়ে যাঁদের ভাববার কথা তাঁরা গণতন্ত্রের প্রলেপ লাগিয়ে নিজের আখের গুটিয়ে নিতে ব্যস্ত ! আমাদের মতো হতদরিদ্র মানুষের কথা ভাববার সময় কই ? 
ধর্মের সুড়সুড়ি দিয়ে ফয়দা তুলতে যেন বদ্ধপরিকর ! 
লোক দেখানো বিজয়ার আলিঙ্গনে মানুষের কতটা মঙ্গল হয় জানিনা তবে কিছু মানুষ তো গলে জল হয়ে যান ' তিনি আলিঙ্গন করেছেন ' বুকের সাথে বুক লেগেছে ! তাঁর জামাটি বাড়ি গেলেই ধোপাবাড়ি চলে যাবে । সে কথা থাক না ! বিজয়া দশমী আসবেই ! মায়ের বিসর্জন হবেই । কেননা মা আজ একেবারে অন্ধ হয়ে গেছেন ।