অমিত সরকারঃ  

অনেকেই ভাবেন শিক্ষকতা হচ্ছে একটা অলসতার কাজ। কিন্তু গবেষকরা বহুদিন ধরেই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলেন এমন এক বিষয়ের যেখানে উঠে এসেছে এক চাঞ্চল্যকর তথ্য।  আসলে শিক্ষকতা একটা মহান পেশা যেখানে জড়িয়ে আছে সমস্ত শিশুর ভবিষ্যতের অঙ্কুরোদগমের রহস্য আর তাকে সুগঠিত করে ভবিষ্যতের কারিগর করে তোলায় তাদের দায়িত্ব।
শিক্ষার্থীর সংখ্যা অত্যধিক বৃদ্ধি পাওয়ার পাশাপাশি প্রশিক্ষকের সংখ্যা কমলে এই ধরনের পরিস্থিতি তৈরি হয়। এর ফলে কার্যক্ষেত্র এবং জীবনের ভারসাম্য বিঘ্নিত হয়। 
যার প্রত্যক্ষ প্রভাব পড়ে মনে। ফলে মানসিক চাপের শিকার হতে হচ্ছে শিক্ষককে। পরিসংখ্যান বলছে, অন্যান্য পেশার ক্ষেত্রে যেখানে ৩২ শতাংশ কর্মীরা তাঁদের কর্মক্ষেত্র নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করছেন, সেখানে শিক্ষকদের এই হিসেব দাঁড়িয়েছে ৪১ শতাংশ। এমনকী, নিজের কাজ নিয়ে প্রতি পাঁচ জনের মধ্যে এক জন শিক্ষকই দুশ্চিন্তায় ভোগেন। 
অন্যান্য পেশার ক্ষেত্রে প্রতি আট জনে এক জন মাত্র ওই সমস্যায় পড়েন। গবেষক জ্যাক ওয়ার্থ বলেন, ‘ইংল্যান্ডের স্কুলগুলিতে শিক্ষকপদে নিয়োগ এবং পড়ুয়াদের সংখ্যার মধ্যে বিশেষ অসাম্য লক্ষ্য করা যায়। ফলে দিনকে দিন এই শিক্ষকদের মানসিক সমস্যা বেড়ে চলেছে। অবিলম্বে উপযুক্ত ব্যবস্থা না নিলে আরও কঠিন সময় আসতে চলেছে।’ 
ন্যাশনাল এডুকেশন ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ম্যারি বোস্টেড বলেন, ‘এর ফলে অনেকেই শিক্ষকতার পেশা থেকে দূরে থাকতে চাইছেন।’ন্যাশনাল ফাউন্ডেশন ফর এডুকেশনাল রিসার্চের এক সমীক্ষায় সম্প্রতি উঠে এসেছে এই তথ্য।