দীপ রায়ঃ 
আজ বৃহত্তর গ্র‍্যাজুয়েট টিচারস এসোসিয়েশান এর পুরুলিয়া জেলা কমিটির ডাকে এক বিক্ষোভ সমাবেশ ও পুরুলিয়া ডি আই ডেপুটেশন সংঘটিত হয়। গ্র‍্যাজুয়েট টিচারদের দুই দশকের অমানবিক বেতন বঞ্চনার কারনে গ্র‍্যাজুয়েট ক্যাটেগরি টিচার রা দু বছর আগে তৈরী করে অরাজনৈতিক শিক্ষক সংগঠন 'বৃহত্তর গ্র‍্যাজুয়েট টিচারস এসোসিয়েশান" সংক্ষেপে বিজিটিএ।  জন্ম লগ্ন থেকে বিজিটিএ টিজিটি স্কেল(৯০০০-৪০৫০০ গ্রেড পে ৪৬০০) ও কেরিয়ার এডভ্যান্সমেন্ট স্কিম(চাকুরী জীবনের তিনটি পদোন্নতি:- ৮-১৬-২৫ এর সুবিধা) জন্য আন্দোলনের ময়দানে নেমে পড়ে। কিন্তু তাদের সব আশায় জল ঢেলে দেয় বর্তমানে ঘোষিত পে কমিশন।  
গত ২৩ শে সেপ্টেম্বর  ক্যাবিনেটে পে কমিশন  পাশ হওয়ার পর থেকেই বিজিটিএ'র বিভিন্ন জেলা সংগঠন ক্ষোভে ফেটে পড়ে। তার ই ফলশ্রুতি আজকের এই বক্ষোভ সমাবেশ ও ডি আই ডেপুটেশন! এই প্রসঙ্গে বিজিটিএ'র পুরুলিয়া জেলা কমিটির সম্পাদক শিক্ষক শ্রী মনোজিত মাহাতো বলেন' "আমরা গ্র‍্যাজুয়েট টিচার রা অনেক স্কুলের এগারো বারো ক্লাসের  সেকশনগুলি  ধরে রেখেছি, কিন্তু আমরাই সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ও বঞ্চিত বেতন কাটামোগত ভাবে। টিজিটি স্কেল আমাদের অধিকার। পশ্চিম বঙ্গ সরকার কে একাধিক বার অনুরোধ করে বিফল হয়ে আমরা হাই কোর্টের দারস্থ হই। হাই কোর্ট ম্যান্ডামাস জারী করে রাজ্যকে গ্র‍্যাজুয়েট টিচারদের বেতন বৈষম্য দূর করতে বলে রায়দান করেন।
আরও পড়ুন
টিজিটি স্কেল দেওয়া ও আপার প্রাইমারি স্টেটাস বাতিল করার দাবীতে
 কোচবিহারে ডেপুটেশন BGTA এর 
কিন্তু সেই রায় কে পাত্তা না দিয়ে সরকার যে পে কমিশন(চুড়ান্ত ভাঁওতা) ঘোষনা করে তাতে গ্র‍্যাজুয়েট টিচার রা অরো বঞ্চিত হয়। পে কমিশনের পে মার্টিক্স অনুযায়ী একজন পিজিটি ও টিজিটি টিচারের ইনিশিয়াল বেসিকের তফাৎ ৯২০০ টাকা। এই তফাৎ সারা ভারতে বিভিন্ন রাজ্যে কমবেশী ২৭০০ টাকা। সরকার যদি আমাদের দাবী মেনে এই তফাৎ ২৭০০ টাকা না করে তাহলে আমরা  জেলার পাশাপাশি সারা রাজ্য জুড়ে তীব্র শিক্ষক আন্দোলনের ডাক দেব। সারা ভারতের মধ্যে শুধু পশ্চিম বঙ্গেই কেন গ্র‍্যাজুয়েট টিচার রা বঞ্চিত হবেন?আর কেনই বা এই রাজ্যেই হাই কোর্রটের রায় কে অবহেলা করা হবে? সরকারকেই এর জবাব দিতে হবে।"