পানিঝোড়া-প্রকৃতির সাথে নিরিবিলিতে সময় কাটাতে

পানিঝোড়া-প্রকৃতির সাথে নিরিবিলিতে সময় কাটাতে


Sangbad Ekalavya: ইতিহাসের পাতায় শোনাযায়- কোচবিহারের রাজা ধৈর্য্যেন্দ্রনারায়ন ভুটান সেনাপতি পেনশু তোমার হাতে বন্দী হন। বন্দী রাজাকে প্রথমে বক্সা ও পরে তত্‍কালীন ভুটান রাজধানী পুনাখাতে বন্দী করে রাখা হয়। 

ইষ্টইন্ডিয়া কোম্পানীর যৌথ সেনাবাহিনী কোচবিহারের সমস্ত ভুটানি সেনা ঘাঁটি ভেঙে দেয়। যুদ্ধের পর রংপুরের কালেক্টর পারলিং ভুটান রাজাকে চিঠি লিখে জানান রাজা ধৈর্য্যেন্দ্রনারায়নকে মুক্তি না দিলে ইংরেজ সৈন্যরা ভুটান রাজধানী দখল করবে। 

এরপর রাজা ভুটান থেকে মুক্তি পেয়ে বক্সার পথে কোচবিহার যান। রাজার মুক্তির আনন্দে রাজপুরুষগণ রাজাকে অভ্যর্থনা জানাতে বক্সায় যায় এবং এইখানেই চেকাখাতার কাছে রাজার প্রথম অন্নগ্রহনের ব্যবস্থা করেন। বহুদিনের পর স্বদেশে ফিরে এই স্থানে রাজা ভাত খেয়েছিলেন। এই ঘটনার পর থেকেই লোকমুখে এই স্থানের নাম হয় রাজাভাতখাওয়া।

এই রাজাভাতখাওয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের অধিন পানিঝোড়া গ্রাম। ভাতখাওয়া নদীর পাশেই গড়ে উঠেছে জনবসতি। যারা প্রকৃতিকে ভালোবেসে প্রকৃতির সাথে নিরিবিলিতে সময় কাটাতে চান তাদের জন্য একটি ভালো গন্তব্য এই পানিঝোড়া গ্রাম। অরণ্যের কোলে নদীর শান্ত জলের নিরবতার ভাষা জানতে যোগাযোগ করতে পারেন স্থানীয় ব্যক্তি শ্রী দাশু রাভার সাথে- 6295469972 এই ফোন নাম্বারে।