শুভাশিস দাশঃ
শরৎ এলেই পাড়ায় পাড়ায় সেজে ওঠে রকমারি প্যান্ডেলের বাহার । বাতাসে আগমনী গান বেজে উঠলে মা দুর্গার উপর রঙ চড়ে । নদী পারের সাদা কাশে কী এক আনন্দ ! মা আসছেন !
প্রতি বছর এক নিয়মে পুজো আসে । মণ্ডপে মণ্ডপে আলোর রোশনাই । আমাদের এই উত্সব নাকি সার্বজনীন ?
ঝলমলে আলোর ওপারের চেহারাটা একেবারে অন্যরকম । ছেঁড়া জামায় কত শৈশব ব্যস্ত থাকে পথ থেকে ময়লা কাগজ , শিশি বোতল কুড়ানোর জন্য । মণ্ডপের কাছে ওরা আসতেই পারে না । দূর থেকে শুধু মায়ের রাজকীয় বেস লক্ষ্য করে ।
ভোগের প্রসাদ বিতরণ হয় । হাত পেতে দাঁড়ালেও সেই ময়লা কচি হাতে একটু প্রসাদও পড়ে না । অথচ আমরা সার্বজনীন !
বলুন তো একটা শ্রেণী সেজে গুঁজে প্রতিমা দেখতে বেরোবে আর ওদের পাশে জীর্ণ মানুষগুলো ক্যামন অসহায় হয়ে ঘোরাফেরা করে ! ভালো লাগে কি ? এই আনন্দ কেমন করে মনে আন্দোলিত হয় ? হয়না । বিবেকের কাছে বড্ড ছোট ছোট লাগে নিজেকে ।
ভেবেছেন কি ? কোটি কোটি টাকা শুধু ওই চারদিনের জন্য ব্যায় হয় ! কী লাভ ? একদিকে অনাহার দাঁড় করিয়ে এভাবে আনন্দ করে ? মানবিকতা বলে কিছু থাকে কি ?
পুজো তো সবার । আর পুজো হবেই কিন্তু আরম্ভের বিড়ম্বনা আমাদের আহত করে বৈকি !
আসুন না বৈভবের সীমানা কে ছোট করে পুজোকে সত্যিকারের সার্বজনীন করে তুলি আর কিছু না হোক যেন ওই চারদিন মণ্ডপে ওরা সবাই পেট পুরে ভোগের প্রসাদ খেতে পারে ।
সবার সাহায্যে ওদের গায়ে উঠুক একটা নতুন জামা । পুজোর সার্থকতা তো সেখানেই কী বলেন ?
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊