অম্বরনাথ সেনগুপ্ত এবং রাজ্য সরকারের মধ্যে প্রতিমা নিরঞ্জন নিয়ে একটি মামলা দায়ের হয়েছিল। ২০১৭ সালের অক্টোবরে NGT রায় দেয়- কোন পুকুরে প্রতিমা নিরঞ্জন করা যাবে না। আর তাই গতবছর দিনহাটায় প্রতিমা নিরঞ্জন নিয়ে বাদানুবাদ শুরু হয়। আবেগ বনাম পরিবেশ। আর সিদ্ধান্ত হয় থানার দীঘি বলে পরিচিত দীঘিতে বহু পুরানো কাল থেকে যে প্রতিমা নিরঞ্জন হয়ে আসছিল তা রথবাড়ি ঘাটে হবে। আর এইবারও তার ব্যতিক্রম হলনা। দিনহাটার এস ডি ও দিনহাটার চেয়ারম্যানকে প্রতিমা নিরঞ্জনের জন্য রথবাড়ি ঘাটে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশ দেন।
এই বিষয়ে বিধায়ক উদয়ন গুহ বলেছিলেন-
"দূর্গা পূজার বিসর্জ্জন গতবারের মতোই এবারও রথবাড়ী ঘাটেই হচ্ছে।এটাই প্রশাসনের সিদ্ধান্ত। থানার দিঘীতে বিসর্জ্জনের ব্যাপার এ আবেগ আর সব দিনহাটাবাসীর মতো আমাদেরও আছে, কিন্তু পদে বসে কোর্টের আইন না মানাটা ধৃষ্ঠতা। সেটা আমার বা আমাদের নেই। বরং আসুন সবাই মিলে বিসর্জ্জন উৎসবটা কে সুন্দর শান্তিপূর্ণ করে নতুন ঐতিহ্য গড়ে তুলি।"
কিন্তু এই সিদ্ধান্ত মানতে পারছে না দিনহাটার একটা বড় সংখ্যক সাধারণ মানুষ। ফলে আন্দোলন গড়ে তোলার চেষ্টা চলছে । দিনহাটার একটি সামাজিক সংগঠন অশ্বমেধ এই বিষয়ে এসডিওর স্মরণাপন্ন হন সিদ্ধান্ত পূনর্বিবেচনার জন্য। সংগঠনের পক্ষ থেকে শ্রী সুমন দাস জানিয়েছেন-
কিন্তু এই সিদ্ধান্ত মানতে পারছে না দিনহাটার একটা বড় সংখ্যক সাধারণ মানুষ। ফলে আন্দোলন গড়ে তোলার চেষ্টা চলছে । দিনহাটার একটি সামাজিক সংগঠন অশ্বমেধ এই বিষয়ে এসডিওর স্মরণাপন্ন হন সিদ্ধান্ত পূনর্বিবেচনার জন্য। সংগঠনের পক্ষ থেকে শ্রী সুমন দাস জানিয়েছেন-
"আমরা প্রশাসনের কাছে "অশ্বমেধ একটি সামাজিক একক" সমগ্ৰ দিনহাটা বাসীর পক্ষ থেকে আবেদন রাখছি যে,প্রশাসনের তরফ থেকে দুর্গা প্রতিমা বিসর্জন থানা দিঘীতে না করে সিংগীমারী নদীর শাখা নদীর সংলগ্ন রাথবাড়ী শ্মশান ঘাটে করার যে সিদ্ধান্ত প্রশাসনের তরফে নেয়া হয়েছে তা পুনর্বিবেচনা করা হােক।"
প্রসঙ্গত তিনি আরও বলেন-
প্রসঙ্গত তিনি আরও বলেন-
কোর্টের অর্ডার এ বলা আছে যমুনা নদীতে বিসর্জন করা যাবে না অর্থাৎ যে কোনাে নদীতেই বিসর্জন পরিবেশ গত দিক থেকে ঠিক নয় বলে ধারণা করা যেতে পারে। যদি আমরা পরিবেশ দূষণের কথাই ভাবি, তবে পুকুরের জল দূষণ এর থেকে নদীর জল দূষণ করা বেশী ভয়ংকর বা ক্ষতিকারক, নদীর জল আবােধ্য হওয়ায় সীমাহীন দূষণ ঘটাতে পারে কিন্তু পুকুরের জল এর বিশুদ্ধ করণ অপেক্ষা কৃত সহজেই সম্ভব।
এছাড়া প্রতিমা থানা দীঘিতে ক্রেন দিয়ে বিসর্জন করার পর পরই দ্রুত ক্রেন দিয়েই তুলে ফেলা সম্ভব, এতে দূষণ অনেকটাই আটকানােও যেতে পারে।
এমনকি প্রতিমা তৈরিতে ক্ষতিকারক রং ব্যবহার করার জন্য, পশ্চিমবঙ্গ জীববৈচিত্র পর্ষদ নদীতে প্রতিমা বিসর্জনের সর্বদা বিরােধী। (বিসর্জনের কিছুদিনের মধ্যে নদিতে প্রচুর মাছ মারা যাবার ঘটনা দেখা গেছে)
সংগঠনের ওপর সদস্য শ্রী দীপায়ন চক্রবর্তী বলেন-
"থানাদিঘী শহরের বুকে, যেকোন রকম ল এন্ড অর্ডার বা মেডিক্যাল এমারজেন্সি সমস্যা দেখা দিলে সাধারণ মানুষকে সহজেই সহযােগিতা প্রশাসন করতে পারবে। যেটা রাথবাড়ী ঘাট শশ্মানে সম্ভব নাও হতে পারে। সর্বোপরি , বিসর্জনে শুধুমাত্র শহরের নয় গ্রামের প্রচুর মানুষও এতে অংশগ্রহণ করে। শহরের বাইরে হওয়ায় আপামর জনসাধারণ এতে সামগ্রিক ভাবে অংশগ্রহণ করে না (নিরাপত্তা ও দুরবর্তী হবার জন্য) - ফলে দুর্গমাকে বিসর্জনের যে সিদ্ধান্ত জনসাধারনের উপর চাপিয়ে দেয়া হয়েছে তা জনগণ এবং দুর্গাপূজা কমিটি গুলির মধ্যে রােষের জন্ম দিচ্ছে বলে জানা যাচ্ছে।
এইজন্য আজ সংগঠনের পক্ষথেকে মহকুমা শাসককে দিনহাটাবাসীর ভাবাবেগের কথা মাথায় রেখে প্রতিমা বিসর্জনের বিষয়টি সহদয়তার সহিত পুনর্বিবেচনার জন্য একটি আবেদনপত্র প্রদান করেন। মহকুমা শাসক বলেন- তিনি আবেদনটি নিয়ে ভেবে দেখবেন ।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊