চ্যাংরাবান্ধা। আনারুল ইসলাম প্রামাণিক ঃ 
ভারত বাংলাদেশ সীমান্তে আন্তর্জাতিক বানিজ্যিক বাজার। যার উপর দিয়ে দৈনদিন চলছে কোটি কোটি টাকার ব্যাবসা। এই চ্যাংরাবান্ধা বাজারের মুল উন্নয়ন এর পরিকাঠামো তেলানিতে রেখে চলছে আড়ালে তোলাবাজি আর রাজনৈতিক। এই রাজনৈতিক দলের দ্বারা দলবাজির লীলা চক্র খেলা আর কত দেখবেন, এই আক্ষেপ করে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বর্শিয়ান প্রভাব শালি ব্যাবসায়ী জানান। প্রাক্তন মেখলিগঞ্জ ব্লক পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি আলিয়ার রহমান প্রামাণিক জানান, আমি সভাপতি থাকাকালিন চ্যাংরাবান্ধা বাজারের পরিকাঠামোর আমুল পরিবর্তন ঘটানোর উদ্যোগ নিলেও আমার কথা তখন বাতুল সমান। রাজ আমলের ঐতিহ্য কুয়ো থেকে শুরু করে জলনিকাশি ক্যানেল সেটাও দখল করা শুরু করে দায়িত্ববান ব্যাবসায়ী গন। ২০১১ সালে পরিবর্তন সরকার আসার পর চ্যাংরাবান্ধা বাসিন্দাদের আশ্বাস দেয় চ্যাংরাবান্ধা কে হেরিটেজ এ পরিনত করবে। 
তার পর ২০১৬ সালের বিধান সভা নির্বাচনের ৩৯ বছর এর বামফ্রন্ট কে বিদায়ের পরও চ্যাংরাবান্ধা বাসি ভূয়সী প্রশংসা ও উন্নয়নের জোয়ার দেখে স্বপ্নের ইতিহাস খুঁজে বেরাচ্ছে। দল কে বাচাতে ও নিজ স্বার্থের টানে সেই বাম মন্ত্রী পরেশ চন্দ্র অধিকারী চ্যাংরাবান্ধা উন্নয়ন পর্ষদের চ্যায়ারম্যান ও দলের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব ভার গ্রহণ করেন। কিন্তু পরেশ বাবু তার মেয়ের চাকরি নিয়ে উন্নয়ন এর বন্যায় ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে কোচবিহারে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ফিনিস হয়ে যান। আজও তাদের মুখে উন্নয়ন এর ঢেউয়ের গল্প শোনাচ্ছেন। আশ্চর্য জাদুকরী শব্দের ব্যবহার পরেশ বাবুর মুখে। আজ চ্যাংরাবান্ধা সীমান্ত আন্তর্জাতিক বানিজ্যিক বাজার এর রাস্তার যে কঙ্গাল সার তার চিত্র তুলে ধরেন কিছু ব্যাবসায়ী। সামান্য বৃষ্টির জলে এই অবস্থা। তা হলে চ্যাংরাবান্ধা বাসি আর কত দিনে উন্নয়ন দেখতে পাবে। ক্ষুব্ধ জনতা আজ চ্যাংরাবান্ধা বাজারের উন্নয়ন এর মুল চিত্র তুলে ধরে সাময়িক রাস্তা অচল করেন। এবং খুব দ্রুত উন্নয়ন পর্ষদের চ্যেয়ারম্যান ও বিধায়ক অর্ঘ্য রায় প্রধান এর হস্তক্ষেপে সমস্যার আশু সমাধান চান স্থানিয় বাসিন্দা, আব্দুল রহিম, রমজান আলি, আনন্দ ঘোষ প্রমুখ।