আনারুল ইসলাম প্রামাণিক,চ্যাংরাবান্ধাঃ 
মেখলিগঞ্জ ব্লকের উছলপুকুরি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দা রতিচন বর্মন,ও স্ত্রী  অন্নবালা বর্মন সাং উচলপুকুরি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ধুলিয়া হাটের বাসিন্দা। গান ভীক্ষায় এক মাত্র তাদের অবলম্বন। অন্ধ স্বামী কে নিয়ে ঘর অন্নবাল বর্মনের, তিনি জানান ভগবান ওকে প্রতিবন্ধী করলেও আমার দৃষ্টিতে তাকে প্রতিবন্ধী হিসাবে মনে না করে শুরু করি ঘর  সংসার। বর্তমানে দুই মেয়ে এক ছেলে। বড় মেয়েকে বিয়ে দেন কুচলিবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ডাকুয়া টারিতে ,।গ্রামে ও শহরে পাঁচ মিশালি গান গেয়ে দর্শকের মন কেড়ে নেন। কিন্তু মনের দুক্ষে রতিচন বাবু জানান আমি দেখতে না পেলেও দেশের খবর গুলি শুনে অনুভব করি। বর্তমানে এন্ড্রয়েডের যুগ মোবাইলের মাধ্যেমে নাকি গ্রামের সুপ্ত প্রতিভার বিকাশ ঘটে, তিনি এ কথাও জানান সোসাল মিডিয়ার সাহায্য রেল স্টেশনে রানাঘাটের রানু পাগলি  লতা কন্ঠে ভাইরাল হওয়ায় তিনি আজ সেলেব্রিটি লাভ করেন এবং আট বছর পর তার পরিবার কে ফিরে পান কিন্তু তিনি গান ভীক্ষা জগৎ টাকে শেষ করে দিলেন বয়স প্রায় শেষের দিকে আজ পর্যন্ত তার কোন খবর সংবাদ মাধ্যেম উঠে আসেনি এটাই তার বড় আক্ষেপ। সেই আক্ষেপ ছেড়ে শুরু করেন পাঁচ মিশালি গানের আসর, যে ভাবে গান গেয়ে আসর জমান এবং দর্শক রা যে আনন্দ উপভোগ করেন সেই তুলনায় দক্ষিনা পড়ে না, তবু্ও অভাবের তারনায় গান গেয়ে ভিক্ষবৃত্তিই এক মাত্র সম্বল রতিচন ও অন্নবালার জীবন।