সংবাদ একলব্য,৯ আগস্টঃ মোশাররফ করিম (জন্ম ২২ আগষ্ট ১৯৭১) একজন বাংলাদেশী অভিনেতা যিনি একুশ শতাব্দীর প্রথম দশকে টেলিভিশনের পর্দ্দায় ব্যতিক্রমী ও শক্তিশালী অভিনয়শিল্পী হিসাবে আবির্ভূত হন। আসুন জেনে নেই মোশারফ করিমের ভালোবাসার গল্প।
স্কুলে বা কলেজ পড়ার সময় নয়-শিক্ষকতা করার সময় ছাত্রীর প্রেমে পড়ে যান জনপ্রিয় অভিনেতা মোশাররফ করিম। প্রথম প্রেমে পড়েন তার নিজ ছাত্রীর। নিজ থেকে তাকে বলার সাহসও ছিল না মোশাররফ করিমের। ভাললাগার কথা জানান এক বন্ধুর মাধ্যমে। চার বছর চুটিয়ে প্রেম করে পরে তাকে বিয়ে করেন তিনি। সেই প্রেমের কথা বাংলাদেশের একটি সংবাদ মাধ্যমে অকপটে স্বীকার করলেন মোশাররফ।
স্কুলে বা কলেজ পড়ার সময় নয়-শিক্ষকতা করার সময় ছাত্রীর প্রেমে পড়ে যান জনপ্রিয় অভিনেতা মোশাররফ করিম। প্রথম প্রেমে পড়েন তার নিজ ছাত্রীর। নিজ থেকে তাকে বলার সাহসও ছিল না মোশাররফ করিমের। ভাললাগার কথা জানান এক বন্ধুর মাধ্যমে। চার বছর চুটিয়ে প্রেম করে পরে তাকে বিয়ে করেন তিনি। সেই প্রেমের কথা বাংলাদেশের একটি সংবাদ মাধ্যমে অকপটে স্বীকার করলেন মোশাররফ।
সাক্ষাৎকারে মোশারফ করিম বলেন- ছোটবেলা থেকেই প্রেম-ভালোবাসার প্রতি আমার দূর্বলতা কম ছিল। ক্লাসের বন্ধুরা যখন প্রেম করে বেড়ায়, আমি তখন পড়াশোনায় মত্ত। ওসবের প্রতি খুব একটা আগ্রহ ছিল না তখন। প্রথম প্রেমে পড়ি শিক্ষকতা করার সময়। বহু বছর আগের ঘটনা।
সময়টা সম্ভবত ২০০০ সাল হবে। আমি তখন একটি কোচিং সেন্টারে বাংলা পড়াই। ক্লাসের একটি মেয়েকে দেখে আমার ভালো লেগে যায়। বলা যায়, ছাত্রীর প্রেমে পড়ে যাই। মেয়েটি তখন ইন্টারমেডিয়েটের ছাত্রী। কিন্তু ভালো লাগার মানুষটি ছাত্রী বলে, বেশ ভাবনা-চিন্তার মধ্যে পড়ে যাই। সরাসরি প্রেমের প্রস্তাব দিতে ভয়ও হচ্ছিল। আবার কাউকে যে বিষয়টি শেয়ার করবো, এ নিয়েও বেশ চিন্তার মধ্যে ছিলাম। সিদ্ধান্ত নিলাম, নিজে গিয়ে প্রেমের প্রস্তাব দেবো। কয়েকবার বলার পদক্ষেপও নিয়েছিলাম, কিন্তু পারিনি।এভাবে অনেকটা সময় পার হয়ে গেল। এর মধ্যে মেয়েটিও আমার কলিগ হয়ে গেলে। সেও কোচিং সেন্টারে ক্লাস নেওয়া শুরু করলো। ‘সে এবার আমার কলিগ’- এমন সাহস নিয়েও বলতে চেয়েছিলাম, তাও বলতে পারিনি। ওর সঙ্গে কথা হতো, আড্ডা হতো কিন্তু ‘ভালোবাসি’ এমনটা বলার সাহস হতো না।
সবশেষে বিষয়টি নিয়ে কাছের এক বন্ধুর কাছে যাই। ওকে সব কিছু খুলে বলি। আমার কথা শুনে পরদিনই সেই বন্ধু মেয়েটিকে গিয়ে সব কিছু খুলে বলে। মেয়েটি তখন ‘হ্যাঁ-না’ কিছুই বলেনি। এবার চিন্তায় পড়ে গেলাম, মেয়েটি কি উত্তর দেবে? যদি ওর উত্তর ‘না’ হয়, তবে তো মান-সম্মান কিছুই থাকবে না। আর ‘হ্যাঁ’ হলে আমাকে আর পায় কে। যাই হোক দুদিন পরই উত্তর পেয়ে গেলাম। মেয়েটি চিরকুটে লিখে পাঠালো ‘হ্যাঁ, আই লাভ ইউ’। সেই মেয়েটির সঙ্গে এখনও আমার সম্পর্ক আছে। সে আর কেউ নয়, আমার স্ত্রী জুঁই করিম।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊