ঘোড়ায় চড়ার যুগ থেকেই নারীদের এই অভ্যাস ! জানলে অবাক হবেন আপনিও
ভারতের রাস্তায় মোটরবাইকের পেছনে চড়ে থাকা নারীদের অনেক সময় দেখা যায় পাশ ফিরে বসতে। প্রথম দর্শনে এটি হয়তো কেবল পোশাক বা ঐতিহ্যের বিষয় মনে হতে পারে। কিন্তু এর ভেতরে রয়েছে দীর্ঘদিনের সামাজিক রীতি, পোশাকজনিত সীমাবদ্ধতা এবং গুরুতর সড়ক-নিরাপত্তা ঝুঁকি।
ঘোড়ায় চড়ার যুগ থেকেই নারীদের পাশ ফিরে বসার অভ্যাস দেখা যায়। এর মূল কারণ ছিল শালীনতা রক্ষা, পোশাকের ধরন এবং সামাজিক প্রত্যাশা। ভারতে শাড়ি, লম্বা স্কার্ট বা ঐতিহ্যবাহী পোশাক নারীদের সোজাসুজি বসতে নিরুৎসাহিত করেছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই অভ্যাস গৃহস্থালির দৈনন্দিন জীবনে গেঁথে গেছে।
শাড়ি বা লম্বা পোশাক পরে মোটরবাইকে চড়লে দুই পা ছড়িয়ে বসা অনেক সময় অস্বস্তিকর ও সামাজিকভাবে অগ্রহণযোগ্য মনে হয়। পাশ ফিরে বসা তাই হয়ে ওঠে "শালীন" ও "নারীসুলভ" ভঙ্গি। এমনকি আধুনিক পোশাক পরলেও অনেক তরুণী অভ্যাসবশত পাশ ফিরে বসেন।
গবেষণা বলছে, পাশ ফিরে বসা অবস্থায় দুর্ঘটনায় গুরুতর মাথার আঘাতের ঝুঁকি অনেক বেশি। হঠাৎ ব্রেক কষলে বা সংঘর্ষে পাশ ফিরে বসা যাত্রী সহজেই ছিটকে পড়তে পারেন, কারণ তারা শরীরকে দৃঢ়ভাবে ধরে রাখতে পারেন না। তাছাড়া বাইকের নকশা মূলত সামনের দিকে মুখ করে বসার জন্য তৈরি, ফলে পাশ ফিরে বসা যাত্রীদের জন্য হ্যান্ডেল বা ফুটরেস্ট যথাযথ নয়। শাড়ি বা লম্বা পোশাকও অনেক সময় চাকায় জড়িয়ে বিপদ ডেকে আনে।
সংস্কৃতি ও পোশাকের কারণে নারীরা পাশ ফিরে বসাকে নিরাপদ বিকল্প মনে করেন। অনেক পরিবারে মায়ের কাছ থেকে মেয়ের কাছে এই অভ্যাস চলে আসে। শাড়ি বা লম্বা পোশাক পরে সোজাসুজি বসা কঠিন মনে হওয়ায় পাশ ফিরে বসা এখনও "ডিফল্ট" ভঙ্গি হয়ে আছে।
নারীদের পাশ ফিরে বসার অভ্যাস কেবল একটি ভঙ্গি নয়, এটি সংস্কৃতি, পোশাক ও সামাজিক রীতির সঙ্গে জড়িয়ে আছে। কিন্তু গবেষণা প্রমাণ করছে, এই অভ্যাস প্রাণঘাতী ঝুঁকি তৈরি করে। তাই ঐতিহ্যকে সম্মান জানিয়ে নিরাপত্তার দিকেও নজর দেওয়া প্রয়োজন।

0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊