Paush Purnima 2026 : হিন্দু ধর্মে কেন এত গুরুত্বপূর্ণ পৌষ পূর্ণিমা ? জেনে নিন তারিখ ও সময়
পৌষ পূর্ণিমা হিন্দু ধর্মে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ তিথি। ২০২৬ সালে এই পূর্ণিমা আরও বিশেষ হয়ে উঠেছে কারণ এটি নতুন বছরের প্রথম পূর্ণিমা। পৌষ মাসের পূর্ণিমা তিথি শুরু হবে ২ জানুয়ারি সন্ধ্যা ৬টা ৫৩ মিনিটে এবং শেষ হবে ৩ জানুয়ারি বিকেল ৩টা ৩২ মিনিটে।
উদয় তিথি অনুযায়ী পূর্ণিমা পালিত হবে ৩ জানুয়ারি ২০২৬ তারিখে। তাই এই দিনেই ভক্তরা উপবাস পালন করবেন, পবিত্র নদীতে স্নান করবেন এবং দান ও পূজা করবেন।
হিন্দু বিশ্বাস অনুযায়ী, পূর্ণিমার দিন উপবাস ও পূজা করলে ধন, সমৃদ্ধি এবং সৌভাগ্যের আশীর্বাদ পাওয়া যায়। বিশেষ করে গঙ্গা, যমুনা বা নর্মদার মতো পবিত্র নদীতে স্নান করলে পাপ মোচন হয় বলে মনে করা হয়। এই দিনে বিপুল সংখ্যক ভক্ত কাশী, প্রয়াগরাজ এবং হরিদ্বারের মতো তীর্থস্থানে গিয়ে গঙ্গাস্নান করেন। রাতে চাঁদের কাছে প্রার্থনা করলে মানসিক চাপ দূর হয় এবং চন্দ্র দোষের প্রভাবও কমে যায়।
পৌষ পূর্ণিমাকে শাকম্ভরী পূর্ণিমা নামেও ডাকা হয়। বিশ্বাস করা হয়, এই দিনে দেবী শাকম্ভরী আবির্ভূত হয়েছিলেন। তিনি পুষ্টি ও পুষ্টির দেবী হিসেবে পূজিত হন। শাকসবজি, গাছপালা এবং সবুজের দেবী হিসেবে তাঁকে সম্মান করা হয়। পৌষ শুক্লা অষ্টমীতে শুরু হওয়া শাকম্ভরী নবরাত্রি এই পূর্ণিমাতেই সমাপ্ত হয়। তাই এই দিনে দেবী শাকম্ভরী এবং ভগবান বিষ্ণুর উদ্দেশ্যে বিশেষ প্রার্থনা করা হয়।
২০২৬ সালের পৌষ পূর্ণিমা তাই শুধু একটি ধর্মীয় আচার নয়, বরং নতুন বছরের সূচনায় শুভাশীষ লাভের একটি বিশেষ সুযোগ। ভক্তরা এই দিনে উপবাস, স্নান, দান এবং পূজা করে নিজেদের জীবনে শান্তি, সমৃদ্ধি ও সৌভাগ্য কামনা করেন।
অস্বীকৃতি: এই প্রতিবেদনটি সাধারণ তথ্যের ভিত্তিতে লেখা হয়েছে। পাঠকদের সচেতন করার উদ্দেশ্যেই এটি প্রকাশিত। ধর্মীয় বিশ্বাস ও আচার পালনের ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত শ্রদ্ধা ও আস্থাই মুখ্য ।

0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊