Latest News

6/recent/ticker-posts

Ad Code

Mamata Banerjee on Primary TET Verdict: প্রাথমিকে ৩২ হাজার চাকরি বহালে উচ্ছ্বসিত মমতা

Mamata Banerjee on Primary TET Verdict: প্রাথমিকে ৩২ হাজার চাকরি বহালে উচ্ছ্বসিত মমতা

Mamata Banerjee, Primary TET, Kolkata High Court, 32000 teachers jobs, West Bengal teachers verdict, Bratya Basu, Abhijit Gangopadhyay, Tapabrata Chakraborty, Ritabrata Kumar Mitra, teacher recruitment West Bengal

কলকাতা হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ বুধবার রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষকদের চাকরি বহাল রাখার নির্দেশ দিয়ে দীর্ঘদিনের অনিশ্চয়তার অবসান ঘটাল। ২০১৪ সালের টেটের ভিত্তিতে ২০১৬ সালে নিয়োগ পাওয়া প্রায় ৩২ হাজার শিক্ষককে চাকরিতে বহাল রাখার রায় দেন বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী ও বিচারপতি ঋতব্রত কুমার মিত্র। এই রায়কে কেন্দ্র করে শিক্ষক সমাজে স্বস্তি ও আনন্দের আবহ তৈরি হয়েছে।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মালদহ সফর শেষে মুর্শিদাবাদে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে প্রথম প্রতিক্রিয়া দেন। তিনি বলেন, “খুব ভালো হয়েছে। আমি খুব খুশি। প্রাথমিক শিক্ষকদের দিকটা মানবিক দিক থেকে দেখা হয়েছে, পরিবারগুলিকে রক্ষা করা হয়েছে।” মুখ্যমন্ত্রী আরও যোগ করেন, “আমাদের কাজ চাকরি দেওয়া, খেয়ে নেওয়া নয়। প্রাথমিক শিক্ষকরা সুবিচার পেয়েছেন, পরিবারগুলি সুরক্ষিত, তাতেই আমি খুশি।”

শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুও X হ্যান্ডেলে শিক্ষক সমাজকে শুভেচ্ছা জানান। তিনি উল্লেখ করেন, এই রায় শুধু শিক্ষকদের নয়, তাঁদের পরিবারগুলিরও স্বস্তি এনে দিয়েছে।

উল্লেখযোগ্য, ২০২৩ সালের মে মাসে তৎকালীন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ৩২ হাজার চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন। যদিও চাকরি বাতিলের পরও তাঁদের কর্মরত থাকতে বলা হয়েছিল এবং তিন মাসের মধ্যে নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। পরে তিনি বিচারপতির পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে রাজনীতিতে যোগ দেন এবং বর্তমানে বিজেপি সাংসদ। তবে এদিন মুখ্যমন্ত্রী তাঁর নাম উল্লেখ করতে নারাজ ছিলেন।

ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে, সিঙ্গল বেঞ্চের রায় ছিল বিচারব্যবস্থার উপর অবাঞ্ছিত হস্তক্ষেপ। সেই রায় খারিজ করে ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, প্রাথমিকের ৩২ হাজার চাকরি বাতিল নয়, বরং প্রত্যেকে স্বপদে বহাল থাকবেন।

এই রায়ের ফলে দীর্ঘদিন ধরে অনিশ্চয়তায় থাকা শিক্ষক সমাজে নতুন আশার আলো দেখা দিয়েছে। চাকরি হারানোর ভয়ে আতঙ্কিত পরিবারগুলিও এখন স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছে। মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট করে দিয়েছেন, আদালতের সিদ্ধান্তকে তিনি শ্রদ্ধা করেন এবং এই রায় রাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থাকে আরও স্থিতিশীল করবে।

২০১৪ সালের টেটের ভিত্তিতে শুরু হওয়া নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে একাধিক মামলা আদালতে ওঠে। দীর্ঘ শুনানির পর অবশেষে ডিভিশন বেঞ্চের রায়ে পরিষ্কার হয়েছে, প্রাথমিক শিক্ষকদের চাকরি বহাল থাকবে। ফলে রাজ্যের শিক্ষা পরিষেবায় স্থিতি ফিরল এবং শিক্ষক সমাজে আনন্দের ঢেউ বয়ে গেল।

এই রায়কে কেন্দ্র করে রাজ্যের রাজনৈতিক মহলেও আলোচনার ঝড় উঠেছে। তবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট করে দিয়েছেন, তিনি কোনও ব্যক্তিগত মন্তব্য করতে চান না। তাঁর একমাত্র বার্তা—“বিচারকে আমরা শ্রদ্ধা করি। চাকরিরত ভাইবোনেরা চাকরিটা ফিরে পেয়েছে, আমি খুশি।”

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

Ad Code