India’s Air Pollution Crisis: শীর্ষ ২০ দূষিত শহরের মধ্যে ১৪টি ভারতেই, রাজনৈতিক নীরবতা অব্যাহত
বিশ্বের শীর্ষ ২০টি দূষিত শহরের তালিকায় ভারতের ১৪টি শহর রয়েছে, যা ২০২৪ সালের বিশ্ব বায়ু মান রিপোর্টে প্রকাশিত হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের একাধিক নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও, কেন্দ্রীয় বা রাজ্য সরকার এই সংকটকে জাতীয় জরুরি অবস্থা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়নি।
দিল্লি, মুম্বাই, পাটনা, কলকাতা, লখনউ, কানপুর, মীরাট, ফরিদাবাদ, গুরুগ্রাম এবং গাজিয়াবাদ—এই শহরগুলিতে সারা বছরই বিপজ্জনক মাত্রার AQI (Air Quality Index) রেকর্ড করা হয়। বার্কলে আর্থ এবং স্ট্যানফোর্ড এয়ার কোয়ালিটি মডেলের হিসাব অনুযায়ী, দিল্লির শীতকালীন বায়ুতে শ্বাস নেওয়া মানে প্রতিদিন ১৪ থেকে ২৩টি সিগারেট খাওয়ার সমান।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, নিরাপদ PM2.5 মাত্রা প্রতি ঘনমিটারে ৫ মাইক্রোগ্রাম হওয়া উচিত। কিন্তু ভারতের শহরগুলিতে এই মাত্রা সারা বছর ধরে ১০ থেকে ২০ গুণ বেশি থাকে।
১৯৯৮ সাল থেকে সুপ্রিম কোর্ট ডিজেল যানবাহন, নির্মাণ, আবর্জনা পোড়ানো এবং খড় পোড়ানোর বিরুদ্ধে একাধিক নির্দেশ জারি করেছে। আদালত বারবার বলেছে, পরিষ্কার বায়ু সাংবিধানিক অধিকার। কিন্তু বাস্তবায়নে রাজনৈতিক সদিচ্ছার অভাব রয়েছে। বিচারপতি (অব.) মদন বি. লোকুর ২০২৩ সালে মন্তব্য করেন, “ভারতে দূষণ মোকাবেলায় রাজনৈতিক ইচ্ছা কার্যত অনুপস্থিত।”
অর্থনীতিবিদ ও পরিবেশ নীতি বিশ্লেষক ডঃ রাঘব চতুর্বেদী বলেন, “দূষণ কেবল দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের সময় আলোচনায় আসে, তারপর ভুলে যায়।” লোকসভা ও রাজ্য বিধানসভায় দূষণ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা প্রায় নেই বললেই চলে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া এবং ইউরোপীয় দেশগুলি রাজনৈতিক অগ্রাধিকার দিয়ে শিল্প, জ্বালানি ও পরিবহন খাতে সংস্কার করে দূষণ নিয়ন্ত্রণে সফল হয়েছে। ভারত এখনও সেই সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে পারেনি।
গ্লোবাল বার্ডেন অফ ডিজিজ স্টাডি অনুযায়ী, বায়ু দূষণ প্রতি বছর ভারতে ১২ লক্ষেরও বেশি অকাল মৃত্যুর কারণ। এই নীরব মহামারী প্রতিদিন কোটি কোটি মানুষকে বিষাক্ত বায়ুর শিকার করছে।

0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊